ব্রিটিশদের হাতে নিহতদের স্মরণে হেঁটে চলেছেন বজবজের ‘তরুণ’
বর্তমান | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, বজবজ: জালিয়ানওয়ালাবাগে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে প্রায় ৩৭৯ জন ভারতীয়ের প্রাণ কেড়ে নেয় ব্রিটিশরা। আহত হন ১২০০’র বেশি মানুষ। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিলের সেই ঘটনার পাঁচ বছর আগে কানাডা ফেরত কোমাগাতামারু নামক একটি জাহাজ বজবজ বন্দরে নোঙর করেছিল। সেই জাহাজের নিরীহ ভারতীয়দের উপর ব্রিটিশ সেনারা গুলি চালিয়ে অন্তত ১৯ জনকে হত্যা করে। মারাত্মক জখম হন অনেকে। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। এই দু’টি ঘটনা পরবর্তীকালে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল। এই দু’টি ঐতিহাসিক ঘটনাকে দেশের নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে অভিনব পন্থা নিয়েছেন বজবজ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের হালদারপাড়ার বাসিন্দা, ৬৪ বছরের ‘তরুণ তুর্কি’ অতীন হালদার। তিনি একা পায়ে হেঁটে চলেছেন বজবজের কোমাগাতামারু থেকে পাঞ্জাবের অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগের উদ্দেশে।
গত ১১ ডিসেম্বর বজবজ থেকে রওনা হয়েছেন তিনি। আপাতত সাড়ে ৮০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে সোমবার তিনি উত্তরপ্রদেশের কানপুর হাইওয়ে ধরে এগিয়ে চলেছেন। তাঁর হাতে রয়েছে জাতীয় পতাকা। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘চার মাসের পৌঁছে যাওয়ার টার্গেট নিয়ে বেরিয়েছি। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অজস্র মানুষ রাস্তায় রাস্তায় আমাকে উৎসাহিত ও সম্মানিত করছেন। উদ্যম বেড়ে গিয়েছে। টানা কুড়িদিন ভাত খাচিছ না। শুকনো খাবার খাচিছ, যাতে শরীর চাঙা থাকে। ঝাড়খণ্ড দিয়ে আসার সময় জঙ্গলের বিপদসঙ্কুল পথও পেরতে হয়েছে। কিন্তু কোনও ভয় করিনি।’ বজবজ পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত বলেন, ‘উনি আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। এমন উদ্যোগ দেশের সামনে বজবজের নাম উজ্জ্বল করবে। এই যাত্রা সফল হোক, সেটাই কামনা।’