নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ৫০ লক্ষ টাকা তোলাবাজির অভিযোগ। সেই বিপুল পরিমাণ টাকা না পাওয়ায় দলবল পাঠিয়ে প্রোমোটারকে মারধর। রিভলবারের বাঁট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। বাগুইআটির ওই ঘটনার পর থেকে দু’সপ্তাহ ধরে বেপাত্তা বিধাননগর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার সমরেশ চক্রবর্তী। তাঁর খোঁজে ডুয়ার্সের চিলাপাতার জঙ্গলের রিসর্ট থেকে দীঘাতেও হানা দিয়েছিল পুলিস। তাঁর খোঁজে রাজ্যের বাইরেও তল্লাশি শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের রাঁচি, উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে ওড়িশার ঝাড়সুগুদার রিসর্টেও হানা দিয়েছে পুলিস। তবে, এখনও তার খোঁজ মেলেনি।
প্রসঙ্গত, মারধরের ঘটনাটি ঘটেছিল ১৫ ডিসেম্বর। বাগুইআটির রঘুনাথপুর এলাকায় একটি বহুতল নির্মাণ করছেন প্রোমোটার কিশোর হালদার। তাঁর অভিযোগ, কাউন্সিলার সমরেশ চক্রবর্তী ৫০ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছিলেন। ৩ লক্ষ টাকা তিনি দিয়েও ফেলেছিলেন। আর টাকা দিতে পারবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন। অভিযোগ, তারপরই ১৫ তারিখ নির্মাণ সাইটে মারধর করে প্রোমোটারের মাথা ফাটিয়ে দেয় কাউন্সিলারের লোকজন।
ওই ঘটনায় কাউন্সিলারের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রোমোটার। কিন্তু ঘটনার দিনই কাউন্সিলার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এখনও তিনি বেপাত্তা। তবে, ঘটনার দিনই পুলিস তাঁর দুই সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে। তারা ১৪ দিন পুলিসি হেফাজতে ছিল। সেই হেফাজত শেষ হওয়ার পর সোমবার তাদের দু’জনকে বারাসত জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছিল। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে ওইদিন পুলিসকে কেস ডায়েরি দেখাতে বলা হয়েছে।
ওই কাউন্সিলারের খোঁজে তাঁর বাড়িতেও পুলিস একাধিকবার গিয়েছে। ১৭ ডিসেম্বরই তাঁর বাড়িতে নোটিস দিয়েছিল পুলিস। ডুয়ার্স ও দীঘায় তাঁর কোনও খোঁজ না মেলায় পুলিস আরও একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায়। তার মধ্যে এ রাজ্যের বীরভূমের রামপুরহাট, কঙ্কালীতলা, মায়াপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকা রয়েছে। রাজ্যের বাইরে ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও উত্তরপ্রদেশেও হানা দিয়েছে পুলিস। তবে, সোমবার রাত পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত কাউন্সিলারকে।