• গঙ্গায় যাত্রী পরিবহণে ই–ভেসেল, পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের
    এই সময় | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • এই সময়: পরিবেশ বান্ধব ই-বাসের পাশাপাশি এ বার গঙ্গা বক্ষে চলবে ই-ভেসেল বা বৈদ্যুতিক জলযান।

    বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সাহায্যে কলকাতা–সহ ছয় জেলার ন’টি জেটি থেকে ২২টি বৈদ্যুতিক লঞ্চ বা ই-ভেসেল চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। আপাতত একটি ই-ভেসেলের সূচনা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ধাপে ধাপে হুগলির ত্রিবেণী থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নূরপুরের মধ্যে বিভিন্ন ঘাটে বাকি লঞ্চ পরিষেবায় চালু হবে। বাঁচবে যাত্রী পরিষেবার খরচও।

    দেখা গিয়েছে, একটি ১৫০ জন যাত্রী বহন ক্ষমতাসম্পন্ন লঞ্চ চালাতে ঘণ্টায় দশ লিটার ডিজ়েল খরচ হয়। ই–ভেসেলের ব্যাটারিতে একবার চার্জ দিলে দু’ঘণ্টা পর্যন্ত চলানো যাবে। তাতে নদীপথে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে।

    রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের কথায়, গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স ইতিমধ্যেই ৬ কোটি টাকা খরচ করে ১৫০ জন যাত্রী বহনক্ষমতা সম্পন্ন একটি ই-ভেসেল তৈরি করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরে ওই বৈদ্যুতিক জলযানটি বাবুঘাট থেকে হাওড়া, বেলুড়মঠ, দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে চালানো হবে।

    বাকি বিদ্যুতিক জলযানগুলিতে ৮০ থেকে ১০০ জন যাত্রী যেতে পারবেন। যাত্রাপথে চার্জ দেওয়া যাবে না বলেই কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর — দূরপাল্লার যাত্রায় একে ব্যবহার করা হবে না। পরিবেশবান্ধব এই ভেসেলে থাকবে বায়ো–টয়লেটও। যাবতীয় বর্জ‌্য জমা হবে লঞ্চেরই একটি নির্দিষ্ট জায়গায়। ঘাটে এসে তা পরিষ্কার হবে। জলদূষণের মোকাবিলায় ভবিষ্যতে নদীতে ময়লা ফেলা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে।

    ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছ থেকে পাওয়া ২০০ কোটি টাকায় গৌরহাটি, রাসমণি ঘাট, গাদিয়াড়া, আউট্রাম ঘাট, বাঁশবেড়িয়া, দেবীতলার মতো জেটিগুলো নতুন ভাবে তৈরি হচ্ছে। বসছে আলো। তৈরি হয়েছে স্মার্ট কার্ড গেট, বানানো হয়েছে শৌচালয়ও। ঝড়–জলের রাতে জলযানগুলি যাতে বাড়তি যাত্রী তুলতে না–পারে, তার জন্য আলাদা স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকছে।

    প্রতিটি জেটিতে তৈরি করা হচ্ছে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম। এমভি সরস্বতী, এমভি সংগীত, এমভি আত্রেয়ী, এমভি রঙ্গিত, এমভি সঙ্গী, এমভি শীলাবতী, এমভি চাকাচাকি, এমভি বিয়াস, এমভি মোহনচূড়া — মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ন’টি বৈদ্যুতিক জলযানের নামকরণও করে ফেলেছেন।

  • Link to this news (এই সময়)