নতুন বছরেই হাড়কাঁপানো শীত! হুহু করে পারদ পতন জেলায় জেলায়, বড় আপডেট আবহাওয়ার...
আজকাল | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৩১ ডিসেম্বর, বছরের শেষ দিন। কিন্তু তা হলে কী হবে! অন্যান্য বছরের চেনা ছবির সঙ্গে একেবারেই মিলছে না এবছরের ছবি। নেই শীতে কাঁপা, নেই গরম জামা-সোয়েটার-টুপি পরে জুবুথুবু হয়ে ঘুরে বেড়ানো। বরং, শহরে উষ্ণ আবহাওয়া কিছুটা। কেউ কেউ বলছেন ঘরে ফিরে পাখা চালিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। হাওয়া অফিস বলছে, আগামী চব্বিশ ঘণ্টাও সেই আবহাওয়াই থাকবে। মঙ্গবার দিনভর খাস কলকাতার সর্বাধিক তাপমাত্রা থাকবে ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি। আর দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.৫ ডিগ্রি বেশি।
যদিও নতুন বছরের শুরুতেই এক ধাক্কায় কয়েক ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে যাবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। অর্থাৎ, একেবারে শেষদিনেও ভরা শীত থাকার কথা যখন, তখন যে গরমের আমেজ, সেই গরমের আমেজ কাটিয়ে বঙ্গে শীতের আমেজ আসবে।
দক্ষিণ বঙ্গে আগামী কয়েকদিনে দুই থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। খাস কলকাতায় বছরের প্রথম দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ কিংবা তার নীচে নামতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। বর্ষবরণে জমিয়ে শীতের আমেজ ফিরে আসার সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবারের মধ্যে তিন ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। তবে জাঁকিয়ে শিট একেবারেই বছর শুরুতে নয় বলেই মত আবহাওয়াবিদদের। যদিও জানানো হয়েছে, বর্ষবরণ হবে কুয়াশার মধ্যে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে নতুন বছরে কুয়াশার দাপট থাকবে বেশি। বেশিরভাগ জায়গায় দৃশ্যমানতা ২০০মিটারের কম থাকবে। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা নামতে পারে ৫০ মিটারের নীচে। আগামী কয়েকদিন দার্জিলিং জলপাইগুড়ি কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে কুয়াশার দাপট থাকবে বেশি। দক্ষিণবঙ্গে মঙ্গলবারও কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। বেশি কুয়াশা হতে পারে দুই বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে।
অন্যদিকে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ১ জানুয়ারি থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তর–পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায় তৈরি হতে চলেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে ১ এবং ৬ জানুয়ারি। এছাড়া জেডস্ট্রিম উইন্ড রয়েছে উত্তর পশ্চিম ভারতে। পূর্ব বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। এছাড়া রাজস্থানে রয়েছে একটি সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত। রাজস্থানের ঘূর্ণাবর্ত থেকে গুজরাট পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে। আর এসব কারণে নতুন বছরে শীত কতটা জাঁকিয়ে পড়বে, সেই প্রশ্নে কপালে ভাঁজ থেকেই যাচ্ছে।