• ‘আন্দোলন লোকাল’-এর রুট সম্প্রসারণ, প্রতিবাদে তৃণমূল, কী বলছেন কর্তৃপক্ষ?
    এই সময় | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • কয়েকদিন আগেই দু’টি হাওড়া-সিঙ্গুর লোকালের যাত্রাপথ সম্প্রসারিত করেছিলেন পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞাপান দিয়ে জানানো হয়েছিল, একটি তারকেশ্বর এবং অন্যটি হরিপাল পর্যন্ত চলবে। এ বার এই ট্রেনগুলির যাত্রাপথ সম্প্রসারণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাল তৃণমূল।

    বুধবার থেকে এই ট্রেনগুলি সম্প্রসারিত রুটে চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল পূর্ব রেল। সেখানে ট্রেন ২টিকে ‘হাওড়া- সিঙ্গুর-হাওড়া লোকাল’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এই ট্রেন ‘সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল’ হিসেবেও স্থানীয় মহলে পরিচিত। এই ট্রেনের যাত্রাপথ সম্প্রসারণ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।

    এই ট্রেনের যাত্রাপথ সম্প্রসারণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সিঙ্গুর ১ নম্বর প্লাটফর্মে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব এবং সিঙ্গুরের নিত্যযাত্রীদের একাংশ।

    ২০০৯ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই লোকাল চালু করেছিলেন। সিঙ্গুর বিধায়ক বেচারাম মান্না জানান, পূর্ব রেলের তরফে ইতিমধ্যেই নোটিস দেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল’-এর একটি হরিপাল এবং অন্যটি তারকেশ্বর পর্যন্ত চলবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরবাসীর জন্য ‘সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল’ চালু করেন।

    তাঁর কথায়, ‘সিঙ্গুর জনবহুল এলাকা। এই স্টেশন দিয়ে ৫২টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল চলায় এলাকার মানুষ সহজে যাতায়াত করতে পারতেন। পূর্ব রেল চক্রান্ত করে এই ট্রেন দু'টির একটি হরিপাল, অন্যটিকে তারকেশ্বর পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাইছে।’ মঙ্গলবার বিকেলে একটি প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না।

    মন্ত্রীর বক্তব্যকে কটাক্ষ করে সিঙ্গুর বিজেপির আহ্বায়ক মধুসূদন দাস বলেন, ‘সিঙ্গুর আন্দোলন লোকালকে যদি হরিপাল বা তারকেশ্বর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয় তাতে যাত্রীদের কোনও অসুবিধা হবে না।’

    অন্যদিকে, পূর্ব রেলের এক আধিকারিক জানান,যাত্রীদের চাহিদার কথা ভেবেই রেল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দু'টি সিঙ্গুর লোকালের একটি তারকেশ্বর, অন্যটি হরিপাল পর্যন্ত চলবে। এর জেরে সিঙ্গুরের যাত্রীদের কোনও অসুবিধা হবে না বলেই জানান তিনি। বৃহত্তর স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত।

  • Link to this news (এই সময়)