• গো-কার্ট রাইডে চুল জড়িয়ে উঠে এল মাথার চামড়া, শিলিগুড়িতে ভয়ঙ্কর ঘটনা
    এই সময় | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • গো-কার্ট রাইডে উঠে গাড়ির চাকায় জড়িয়ে গেল চুল, উঠে এল মাথার চামড়া। সোমবার শিলিগুড়ির দাগাপুরে ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, বিহারের বাসিন্দা ওই কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে। মাঝরাতেই ওটি তৈরি করে অস্ত্রোপচার করা হয় মাথায়। বর্তমানে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট বা এইচডিইউয়ে চিকিৎসাধীন। যদিও এই ঘটনায় থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

    বছরখানেক আগের ঘটনা। একই ভাবে এই রাইডে উঠে এক যুবকের মাথার নীচে আঘাত লাগে। মৃত্যু হয় তাঁর। এ বার এক কিশোরীর এই অবস্থা। পরিবারের দাবি, পার্ক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা একেবারেই যথার্থ ছিল না। বাধ্য হয়ে মেয়েকে টোটোয় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।

    বিহারের এক শিক্ষিকা তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে শিলিগুড়ি দাগাপুরে বেড়াতে এসেছিলেন। মায়ের সঙ্গে এসেছিল মেয়েও। গো-কার্টিং রাইডে ওঠে মেয়ে। অন্যান্য পড়ুয়ারাও ওঠে। লম্বা, খোলা চুল নিয়েই গো-কার্টিংয়ে বসে সে। কিছুটা এগোতেই চাকায় চুল আটকে যায়। জ্ঞান হারায় সে। জানা গিয়েছে, গো-কার্ট রাইডে উঠতে গেলে ন্যূনতম যে নিয়ম মানতে হয়, তা মানা হয়নি। ওই কিশোরীর লম্বা চুল। সেই চুল খোলা অবস্থায় উঠেছিল সে। অথচ তাকে কেউ নিষেধও করেনি। নেওয়া হয়নি সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও।

    চিৎকার শুনে ছুটে আসেন বাবা, মা। গাড়ি থামানো হয়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল, চুল কেটে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে টোটোতে করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মাটিগাড়ায়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই কিশোরী।

    পরিবারের অভিযোগ, এত বড় অ্যামিউজ়মেন্ট পার্ক, অথচ সেখানে ন্যূনতম কোনও পরিষেবা নেই। একটা অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও করেনি। কিশোরীর বাবার বক্তব্য, ‘আমার মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়েছিল। দীর্ঘক্ষণ গাড়ির খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ কোনও রকম সহযোগিতাই করেনি। পরে টোটো ডেকে মেয়েকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয়েছে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ জানাব।’ অন্যদিকে এই পার্কের তরফেও সংবাদমাধ্যমে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

  • Link to this news (এই সময়)