কিছুদিন বাঘিনির আতঙ্কে দিন কেটেছে। জ়িনাত ধরা পড়তেই এ বার দলছুট দাঁতালের আতঙ্কে কাঁপছে বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকে এই মুহূর্তে ৬২টি হাতির দল ঘুরছে। ও দিকে আবার দক্ষিণ বাঁকুড়ার বিভিন্ন জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একটি দলছুট দাঁতাল।
বাঘিনি জ়িনাতের আতঙ্ক কাটতে না কাটতে বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অংশে ছড়িয়ে পড়েছে হাতির আতঙ্ক। বড়জোড়া রেঞ্জের পাবয়ার জঙ্গলে এসে ঢুকেছে ৬২টি হাতির একটি দল। সব সময় ভয়, লোকালয়ে না ঢুকে পড়ে। তাদের আটকে রাখতে বনদপ্তর যখন হিমশিম খাচ্ছে, আরেক দলছুট দাঁতাল ভয় ধরাচ্ছে তালডাংরায়।
জানা গিয়েছে, তালডাংরা এলাকার বনাঞ্চলে সোমবার সেই দাঁতাল ঘুরে বেড়িয়েছে। মঙ্গলে এসে হাজির হয়েছে ওন্দার জঙ্গলে। ফলে তালডাংরা ও ওন্দা, দুই ব্লকেরই বাসিন্দাদের এখন আতঙ্ক দিনরাতের সঙ্গী। কখন চুপিসারে লোকালয়ে এসে দাপাদাপি শুরু করবে, তার তো কোনও পূর্বাভাস থাকে না।
স্থানীয় বাসিন্দা রূপচাঁদ কিস্কু বলেন, ‘সব সময় মনে হচ্ছে হাতি চলে এল কি না। ছাগল, গরু নিয়ে সব সময় ভয়ে। সব সময় নজর জঙ্গলের দিকেই থাকছে। আমাদের এই রাস্তা দিয়েই হাতির যাতায়াত। রাতে দরজা খুলে আগে চারদিক দেখি। তার পর বাইরে পা ফেলি। নিজেরা বেরিয়ে সবটা দেখে তার পর বউ, বাচ্চাদের বের করি।’ বন দপ্তরের কর্মীরা অবশ্য ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাচ্ছে। হাতিটির গতিবিধি নজরে রেখেছেন তাঁরা। বিষ্ণুপুর বনাঞ্চলের পথে তাকে পাঠানোরও চেষ্টা চলছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরে বাঘিনি জ়িনাত ঘুম কেড়েছিল বাঁকুড়াবাসীর। রানিবাঁধ ব্লকের গোঁসাইডিহিতে জ়িনাত হাজির হতেই আতঙ্ক। জঙ্গল পথ ধরে কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, তা নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রবিবার বিকালে অবশ্য সে আতঙ্ক কেটেছে। ধরা পড়েছে বাঘিনি। কিন্তু এবার নয়া চিন্তা।