জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'আমাদের বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা যে নির্যাতিত, নিপীড়িত, সেটা নিয়ে কথা হয়েছে'। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করলেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। বললেন, 'আমরা আশা করি, পশ্চিমবাংলার সরকার সহযোগিতা করবে, যাতে নির্যাতন বন্ধ হয়'।
দেড়মাস পার। দেশদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশে জেলবন্দি ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। প্রেসার সুগার ফল করেছে বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মামলার শুনানি।
এদিকে চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ এখন ব্যারারপুরে। ছেলের বাড়িতে রয়েছেন তিনি। সূত্রের খরব, কথা বলতে চেয়ে কুণালকে ফোন করেছিলেন রবীন্দ্রই। জানান, বিশেষ কিছু তথ্য় দিতে চান। এরপর আজ, শুক্রবার ব্যারাকপুরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন কুণাল। চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী বলেন, 'আমাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। আমরা বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়া। বিশেষ করেপশ্চিমবাংলা। মানবাধিকার ও রক্ষার জন্য আমরা একে উপরকে সাহায্য-সহযোগিতা করব। আমাদের বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা যে নির্যাতিত, নিপীড়িত, সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা আশা করি, পশ্চিমবাংলার সরকার সহযোগিতা করবে, যাতে নির্যাতন বন্ধ হয়'।
এর আগে, একাধিকবার পিছিয়ে গিয়েছে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মামলা শুনানি। রবীন্দ্র বলেন,'পিছিয়ে যাওয়ার জন্য তো চাই না। আমরা চাই শুনানি হোক। কিন্তু বাধ্যবাধ্যকতা থাকে তো। জজসাহেব না থাকলে কী হবে! যদি জজসাহেব ওই দিন না থাকে'! শুনানির দিন কি বাংলাদেশে যাবেন? তিনি জানান, 'শারীরিক সমস্যার কারণে আমি রয়ে গিয়েছি। আমার যাওয়ার ইচ্ছা আছে'।
কুণাল বলেন, 'আমরা দেখেছি, ওনাকে কোর্টে হেনস্থা করা হয়েছে। ওখানে কিছু ঘটনা ঘটছে, এগুলি তো আমরা দেখছিলাম। শুক্রবার দিন রবীন্দ্রবাবু আমায় ফোন করেছিলেন। ওনার শরীরের অবস্থা ঠিক নেই। সেজন্য সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছি'। তাঁর কথায়, বাংলাদেশের মানেই তো ভারতের শত্রু নয়, বাংলাদেশে বহু মানুষ আছেন, যাঁরা ভারত-বাংলাদেশ মৈত্র চান। কিন্তু কিছু অশুভ শক্তি কিছু ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমি বললাম, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী খুব পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ একটা রাজ্য়, আর বাংলাদেশ একটা রাষ্ট্র। ফলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তো বাংলাদেশে কিছু করণীয় নেই। করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে'।