• অলৌকিক! প্রতি ১৫ পৌষ ক্ষীরদিঘির জল থেকে উঠে আসেন মা যোগাদ্যা! তাঁকে নিবেদন করা হয়...
    ২৪ ঘন্টা | ০১ জানুয়ারি ২০২৫
  • সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: বহু যুগ আগে ১৫ পৌষের রাতে মা যোগাদ্যা জল থেকে ওঠেন। এই দিন মাকে মুলো ও মুড়ির নাড়ুর ভোগ নিবেদন করা হয়। এই শুভদিনেই ক্ষীরদিঘির পারে নতুন মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল মায়ের আর একটি মূর্তি। প্রতি বছরের মতো এই বছরও ক্ষীরগ্রামের মা যোগদ্যার নতুন মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সেখানে বিশেষ পুজো, চন্ডীপাঠ, হোমযজ্ঞ এবং প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। অগণিত ভক্তের সমাগমে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে ক্ষীরগ্রামে।

    ৫১ সতীপীঠের এক পীঠ এই ক্ষীরগ্রামের মা যোগাদ্যা। ক্ষীরগ্রামের মা যোগাদ্যাকে ঘিরে যেমন ছড়িয়ে আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি, নানা গল্পগাথা, তেমনই মা-কে ঘিরে বছর ধরে পালিত হয় নানা পুজোপার্বণ। সারা বছর মা ক্ষীরদিঘির জলে নিমজ্জিত থাকেন। বৈশাখ মাসের সংক্রান্তির দিন এবং জ্যৈষ্ঠ মাসের ৪ তারিখে মা জল থেকে ওঠেন। ভক্তরা মায়ের দর্শন পান। ওই দুই দিন অগণিত ভক্ত মাকে পুজো দেন। 

    তবে এই দুই দিন ছাড়াও বছরের নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনে মা জল থেকে ওঠেন। তবে এই দিনগুলিতে ভক্তেরা মায়ের দর্শন পান না। মায়ের জল থেকে ওঠার সেই কয়েকটি দিনের মধ্যে পৌষ মাসের ১৫ তারিখ একটি দিন। জানা যায়, এই দিন রাতে মাকে জল থেকে তোলা হয়, মুলো ও মুড়ির নাড়ু দিয়ে মা-কে বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয়।

    জানা যায়, ২০০৯ সালের ১১ ফাল্গুন ক্ষীরদিঘি সংস্কারের সময় খননকার্য চলাকালীন মা যোগদ্যার আরও একটি মূর্তি উদ্ধার হয়। ২০১১ সালের ১৫ পৌষ মায়ের জল থেকে ওঠার এই দিন শুভ দিনে ক্ষীরদিঘির পারে নতুন মন্দির নির্মাণ করে মায়ের মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর পর থেকে প্রতি বছর এই দিনে মায়ের নতুন মন্দিরে বিশেষ পূজার্চনা করার পাশাপাশি মহোৎসবেরও আয়োজন করা হয়।

    প্রতি বছরের মতো এই বছরও যোগাদ্যা মাতা উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে ১৫ পৌষ মঙ্গলবার মা যোগাদ্যার বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। সকালে চন্ডীপাঠ, দেবী পূজা, হোমযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। দুপুরের ভক্তদের অন্নভোগ বিতরণ করা হয়। দূর দূরান্ত থেকে অগণিত ভক্ত আসেন মায়ের পুজো দেখতে, সেই সঙ্গে মায়ের প্রসাদ গ্রহণ করতে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)