• ধৃত জঙ্গি শাদের জাল নথি তৈরি করতে সহযোগিতা করেছিল নওদার সাজিবুল
    বর্তমান | ০১ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: এবিটি প্রধান জসিমুদ্দিন রহমানি ঘনিষ্ঠ শাদ রবি বাংলাদেশ থেকে মুর্শিদাবাদে ঢোকার পরেই জাল ডকুমেন্ট তৈরিতে সাহায্য করেছিল সাজিবুল ও মোস্তাকিমরা। শাদ রবির মামাতো ভাই হয় সাজিবুল। আর সাজিবুলের বন্ধু মোস্তাকিম। তারই স্মার্ট ফোন থেকে এবিটি সংগঠনের সঙ্গে যোগ থাকার প্রমাণ মিলেছে। ওই ফোনটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। এছাড়া সংগঠন বিস্তারের জন্য বেশ কিছু নথিপত্র তাদের কাছে রয়েছে বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। সেই সমস্ত নথি কোথায় লুকিয়ে রেখেছে, তার হদিশ পেতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এসটিএফের দুঁদে গোয়েন্দারা। 

    জানা গিয়েছে, সাজিবুল দু’ বছর সৌদি আরবে ছিল। সেখানে একটি সংস্থায় কাজ করত। প্রায় ছ’লক্ষ টাকা উপার্জন করে সে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়েছিল। আর ওই বাড়িতেই যাতায়াত ছিল তার মামাতো ভাই শাদের। ওই টাকা জঙ্গি সংগঠনের কোনও কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নওদা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া দুই এবিটি জঙ্গি সাজিবুল ইসলাম ও মোস্তাকিম মণ্ডলকে মঙ্গলবার বহরমপুর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিন আদালত চত্বরে দুই জঙ্গিকে দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়ে। বালিশের কভার দিয়ে  সিজিএম সাহেবের ঘরে ঢোকানো হয় তাদের। আদালত থেকে বের করে দুই জঙ্গিকে বহরমপুর থানার সেফ হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই কলকাতার এসটিএফের অফিসে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই অফিসেই চলবে ম্যারাথন জেরা।  এসটিএফের এক আধিকারিক বলেন, এই দুজনেরই এবিটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যোগ পাওয়া গিয়েছে। মোস্তাকিমের কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন উদ্ধার হয়েছে। সেটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।  এবিটি ও শাদ রবির আরও বেশ কিছু নথি এরা লুকিয়ে রেখেছে। সেগুলি কোথায় রয়েছে, তা জানার জন্য আমরা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছি। 

     আদালতে তোলা হচ্ছে ধৃত জঙ্গি সজিবুল ইসলাম ও মোস্তাকিম শেখকে। (পাশে) ধৃত জঙ্গি সাজিবুল ইসলাম। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)