নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: রমনা বাগানের বর্ধমান জুলজিকাল পার্কে লেপার্ডদের শীতের হাত থেকে মুক্তি দিতে নাইট শেল্টার ঘিরে দেওয়া হয়েছে। শেল্টারের ভেতরেও কিছুটা বদল করা হয়েছে। তাদের নাওয়া-খাওয়াতেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। শান্ত স্বভাবের তিন লেপার্ড কালী, ধ্রুব ও তাদের সন্তান ছোট্টু বর্ধমান জুলজিকাল পার্কের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। মূলত তাদের টানেই বহু পর্যটক ওই পার্কে ঢুঁ মারেন। সেই সঙ্গে ভাল্লুক, হরিণ, শিয়াল, ময়ূর, শজারু, কুমির সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখতেও বহু মানুষ ভিড় করেন। বছরের শেষদিন মঙ্গলবার অন্যদিনের তুলনায় ভিড় বেশি ছিল। ঘটনায় খুশি পার্ক কর্তৃপক্ষ।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার শীতের দাপট কিছুটা হলেও কম। তবে, পার্ক কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই তিন লেপার্ডের দেখভালে ত্রুটি রাখতে চাইছে না। কালী, ধ্রুব ও ছোট্টুকে ঘিরে কর্মীরা অত্যন্ত তত্পর। জানা গিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরেই তিন লোপর্ডের নাইট শেল্টার ঘেরা হয়েছে পাটের চট দিয়ে। নাইট শেল্টারের মেঝেতে কাঠের চৌকি বসানো হয়েছে। সেইসঙ্গে এই শীতে তাদের স্নানের বিষয়েও যথেষ্ট নজর দেওয়া হচ্ছে। এখন সপ্তাহে মাত্র দু’দিন স্নান করানো হচ্ছে। জলের পরিমাণও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে খাবারের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। চিকিত্সক তপনকুমার ঘোষ বলেন, অন্যান্য পশুদের প্রতিও যথেষ্ট খেয়াল রাখা হচ্ছে। তবে, লেপার্ডের দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি অবধি এই বিশেষ নজরদারি চলবে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছ, তিন লেপার্ডের মধ্যে কালী যথেষ্ট বয়স্ক। প্রায় ২৪ বছর বয়স। তার খাওয়ার প্রতি আগে থেকেই যথেষ্ট নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রায় এক বছর ধরে কালীর মেনুতে চিকেন থাকছে। ধ্রুব কখনও গাছের ডালে বসে থাকছে, কখনও আবার ছোট্ট কৃত্রিম পাহাড়ে বসে সময় কাটায়। মাঝেমধ্যে ছোট্টু এনক্লোজারের এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়। বছরের শেষদিনে পর্যটকের ভিড় যথেষ্ট ছিল। খণ্ডঘোষ থেকে আসা এক পর্যটক শুভম সরকার বলেন, আগেও এসেছিলাম। এখানে এলে খুব ভালো লাগে। লেপার্ডদের খাঁচার সামনে প্রতিবারই কিছুটা সময় কাটাই। গাছের ডালে শীত ঘুমে লেপার্ড ‘ধ্রুব’। নিজস্ব চিত্র