• পৌষমেলার মাঠ পরিষ্কারে বিশ্বভারতী
    বর্তমান | ০১ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: সফলভাবে পৌষমেলা আয়োজনের পর মঙ্গলবার মেলার মাঠ সাফাইয়ে নামল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয়কুমার সোরেনের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি শুরু হয়। উপাচার্য নিজে শুরু থেকে শেষ অবধি ঝাঁটা হাতে সাফাই অভিযানে অংশ নেন। বিশ্বভারতীর কর্মী-আধিকারিকরাও এতে অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পূর্বপল্লির মাঠ সাফাই হলেই ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে পরিচ্ছন্নতার রিপোর্ট পাঠানো হবে। তবে নির্দিষ্ট সময়ে পূর্বপল্লির বিশাল মাঠ আগের অবস্থায় ফেরানোই এখন জেলা প্রশাসন ও বিশ্বভারতীর বড় চ্যালেঞ্জ।

    একসময় মেলা শেষ হলেও পূর্বপল্লির মাঠ থেকে ব্যবসায়ীদের তুলতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হতো। সরকারিভাবে মেলা শেষ হওয়ার পরও দিনের পর দিন ব্যবসায়ীরা ভাঙামেলা চালিয়ে যেতেন। ‌এর জেরে মেলার মাঠ আবর্জনায় ভরে উঠত। দূষণ ছড়াত। তার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা করেন। এতে বিশ্বভারতীকে মোটা টাকা জরিমানার দিতে হয়। এরপরই নির্দিষ্ট সময়ে মেলা শেষ করতে বদ্ধপরিকর হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে মেলা তোলা নিয়ে তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের ঝামেলা বেধে যায়। তারপর থেকেই পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা বন্ধ হয়ে যায়। এর জেরে পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদেরও টনক নড়ে। ফলে এবছর পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ছয়দিনের মাথায় পৌষমেলা শেষ হয়। মেলা তুলতে জেলা প্রশাসন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। তবে নির্দিষ্ট সময়ে আবর্জনা সাফাই প্রশাসন ও বিশ্বভারতীর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এদিন বিশ্বভারতীর কর্মী, আধিকারিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাঠ সাফাইয়ে নামেন। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন বিশ্বভারতীর সাফাইকর্মীদের পাশাপাশি অন্য দপ্তরের কর্মী-আধিকারিকরাও সাফাইয়ের কাজে হাত লাগিয়েছেন। আশা করি, নির্দিষ্ট সময়েই পূর্বপল্লির মাঠকে আগের অবস্থায় ফেরানো হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)