অঙ্গরাগ সম্পন্ন, আজ থেকে দর্শন ধামেশ্বর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর বিগ্রহ
বর্তমান | ০১ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: অঙ্গরাগের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় পর বিগ্রহ সেজেছে নতুন করে। আজ, বুধবার ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন থেকে ধামেশ্বর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে দর্শন করতে পারবেন ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। গত ১৮ ডিসেম্বর বুধবার ভোরে মঙ্গলারতির পর টানা ১৪ দিন অঙ্গরাগে যান গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু। নবদ্বীপের ধামেশ্বর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর বিগ্রহ এই কয়েকদিন কেউ দর্শন করতে পারেননি। এমনকী, অঙ্গরাগের সময়ে মহাপ্রভুর বিগ্রহকে মন্দিরের সেবাইত থেকে কর্মকর্তারাও দর্শন করতে পারেন না। এবার ২০২৫ সালের পয়লা জানুয়ারি অর্থাৎ নতুন বছর থেকে যথারীতি গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর বিগ্রহকে নতুন সাজে দেখা যাবে। প্রতি এক বছর অন্তর বিগ্রহের এই অঙ্গরাগ সেবা হয়।
চিরাচরিত প্রথা ও ঐতিহ্য মেনে অঙ্গরাগে যাওয়ার আগে বিষ্ণুপ্রিয়ার পরিবারের গোস্বামী বংশের সন্তানদের উপস্থিতিতে মঙ্গলারতির পর মহাপ্রভুকে রুপোর সিংহাসন থেকে নামানো হয়েছিল। এরপর যে নির্দিষ্ট ঘরে মহাপ্রভুর অঙ্গরাগ করা হবে, সেখানে নিয়ে গিয়ে ভাস্করের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বিগ্রহটি। মহাপ্রভুর অঙ্গরাগ ও চক্ষুদানের সময় সেই ঘরে কেউ থাকতে পারেন না। এমনকী, বিষ্ণুপ্রিয়া পরিবারের সদস্যরাও নয়। গৌরাঙ্গের বিগ্রহকে যেভাবে অঙ্গরাগে নিয়ে যাওয়া হয়, ৩১ ডিসেম্বর রাতে একইভাবে বিষ্ণুপ্রিয়া বংশের গোস্বামীগণের উপস্থিতিতে সিংহাসনে আনা হয়।
গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মন্দিরের অন্যতম সেবাইত তথা বিষ্ণুপ্রিয়া সমিতির সভাপতি সুদিন গোস্বামী বলেন, প্রভু যে সিংহাসনে পূজিত হন তার চরণে ফুল, তুলসী, ধুপ দিয়ে আরতি করা হয়। এরজন্য প্রভুর অঙ্গে অনেক মলিনতা এসে যায়। তা ঘোচাতেই এই অঙ্গরাগ। এদিন অর্থাৎ বুধবার সকালে মহাপ্রভুর বিশেষ মহাভিষেক এবং মহাস্নান করানো হবে। নতুন করে বেদী, সিংহাসন শোধন হবে।
বিষ্ণুপ্রিয়া সমিতির কোষাধ্যক্ষ তথা অন্যতম সেবাইত প্রদীপকুমার গোস্বামী বলেন, মহাপ্রভুকে পঞ্চব্যঞ্জন দিয়ে যেরকম ভোগ দেওয়া হয়ে থাকে সেইভাবেই এদিন ভোগ নিবেদন করা হবে। ব্রাহ্মণ, বৈষ্ণব, বিভিন্ন মঠ মন্দিরের সাধুসন্ত ও ভক্তরা প্রায় এক হাজার মানুষের প্রসাদের আয়োজন থাকবে।
উল্লেখ্য, ১৪ দিনের জন্য মহাপ্রভু অঙ্গরাগে যান। সেই সময় ভক্তরা বিষ্ণুপ্রিয়াদেবীকে দিয়ে যাওয়া মহাপ্রভুর পাদুকা, মহাপ্রভুর চিত্রপট ও সনাতন মিশ্র পূজিত নারায়ণ শিলা দর্শন করেন। নিজস্ব চিত্র