• কয়লাখনির সমীক্ষায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বেসরকারি সংস্থার কর্তারা
    বর্তমান | ০১ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, সিউড়ি: লোবায় কয়লাখনির সমীক্ষায় গিয়ে গ্রামবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়ল বেসরকারি সংস্থার কর্তারা। মঙ্গলবার সকালে জমি সংক্রান্ত সমীক্ষা করতে এলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসী। কৃষি জমি রক্ষা কমিটির ধর্না মঞ্চের সামনে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ওই সংস্থার কর্তাদের আটকে রাখা হয়। পরে দুবরাজপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের উদ্ধার করে। 

    গ্রামবাসীর অভিযোগ, লোবায় কয়লাখনি করার জমি কেনার জন্য কোনও নির্দিষ্ট পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু তার আগেই খনি করার জন্য জমি কেনা শুরু করে দিয়েছে ওই সংস্থা। মঙ্গলবার সংস্থার পক্ষ থেকে কর্তারা সেখানে জমির সমীক্ষা করতে যান। তখন লোবার কৃষি জমি রক্ষা কমিটির ধর্না মঞ্চের সামনে সংস্থার কর্তাদের গ্রামবাসী আটকে রাখে বলে জানা গিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দেউচা পাচামিতে রাজ্য সরকার যেভাবে নির্দিষ্ট প্যাকেজ দিয়ে কয়লাখনির জন্য জমি কেনা শুরু করেছে এখানেও একইভাবে জমি কিনতে হবে। এনিয়ে ওই বেসরকারি সংস্থার কর্তা কাঞ্চন চক্রবর্তী বলেন, এমন কিছু ঘটনা ঘটেনি। এটা কোনও বিষয় নয়। সব ঠিক আছে।  উল্লেখ্য, দুবরাজপুর ব্লকের লোবা পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ৩৩৫৩ একর জায়গায় মাটির নীচে উন্নতমানের কয়লা রয়েছে বলে প্রশাসন জানতে পারে। প্রকল্পের জন্য আরও ৪০০ একর জমি নিয়ে টাউনশিপ গড়ে তোলার কথা ছিল। বাম আমলে এই খনি গড়ে তোলার জন্য একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা বেআইনিভাবে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ৭৮৪ একর জমি হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরেই সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে সরকার। গ্রামবাসীর অভিযোগ, বর্তমানে নতুন সংস্থাও বাসিন্দাদের অন্ধকারে রেখে  সেখানে খনি করার চেষ্টা করছে। তাই এদিন তারা প্রতিবাদে নামে। এ প্রসঙ্গে, লোবা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক জয়দীপ মজুমদার বলেন, আমরা শিল্প বিরোধী নই। কিন্তু নির্দিষ্ট প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে। জেলা বা রাজ্য প্রশাসন হস্তক্ষেপ না করলে এখানে খনি হবে না। • নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)