• প্রাক্তন চেয়ারম্যান সহ ১২ জনের নামে মামলা
    বর্তমান | ০১ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, লালবাগ: অনিয়ম ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগে প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিপ্লব চক্রবর্তী সহ বারো জনের বিরুদ্ধে  থানায় অভিযোগ দায়ের করল মুর্শিদাবাদ পুরসভা। অভিযোগের তালিকায় নাম রয়েছে প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিপ্লব চক্রবর্তী ছাড়াও বড়বাবু দিলীপ দাস, দুই সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নীতিশ বিশ্বাস, অমর মণ্ডল, ক্লার্ক অমিত মুন্সি, সুইপার অনিরুদ্ধ ঠাকুর, ছন্দা মজুমদার এবং বেশ কয়েকটি ঠিকাদার সংস্থার। অভিযোগ বড়বাবু দিলীপ দাস অ্যাকাউটেন্ট ও ক্যাশিয়ারের পদও সামলাতেন। উল্লেখ, বড়বাবু দিলীপ দাস, দুই সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সহ পাঁচজনকে পুরসভা ইতিমধ্যে বরখাস্ত করেছে। এদিকে প্রাক্তন চেয়ারম্যান সহ বারো জনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদ থানায় অভিযোগের খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পড়েছে নবাবের শহরে। বিষয়টি নিয়ে সবর্ত্র চর্চা চলছে। মুর্শিদাবাদের পুর চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, প্রাক্তন চেয়ারম্যানের সময়ে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। উনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিজের আত্মীয় থেকে ঘনিষ্ঠদের সুবিধা দিয়েছেন। ফলে সরকারি তহবিলের কোটি কোটি টাকা লুট হয়েছে। ওঁর নির্দেশে পুরসভার একাধিক আধিকারিক এই অনিয়মে সাহায্য করেছেন। ডিএলবির তদন্তে এটা প্রমাণিত হয়েছে। তাই একজন চেয়ারম্যান হিসেবে প্রাক্তন চেয়ারম্যান সহ বারো জনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আইন মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। লালবাগ মহকুমা পুলিস আধিকারিক আকুলকর রাকেশ মহাদেব বলেন, মুর্শিদাবাদ পুরসভার পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। 

    মুর্শিদাবাদ পুরসভায় বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে এই অভিযোগ তুলে গত বছর জানুয়ারি মাসে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রসেনজিৎ মণ্ডল হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১২ থেকে ২০২২ সাল, এই দশ বছরে ১০০ কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে। অভিযোগ, ২০১৬ সালের পর ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। তৎকালীন চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে অভিযুক্ত পুর আধিকারিকরা সাহায্য করেছেন। প্রাক্তন চেয়ারম্যান তার ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু ঠিকাদার সংস্থাকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদার সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, গ্রিন সিটি, রাস্তা নির্মাণ, আবাস যোজনা, চিলড্রেন পার্ক এবং নিকাশি নালা সহ একাধিক প্রকল্পে কাজ না করে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, ১৭ সালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদানের পর জল প্রকল্প থেকে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। মাননীয় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও এমপিকে দিয়ে সমস্ত প্রকল্পের উদ্বোধন করিয়েছি। আজ বিজেপি দ্বারা পরিচালিত ইন্দ্রজিৎ ধরের পুরবোর্ড আমাকে বদনাম এবং দলকে কালিমালিপ্ত করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে মিথ্যা অভিযোগ করছে। কেন না এক বছর আগে বিজেপি কাউন্সিলারদের সাহায্যে দলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাকে সরিয়ে দিয়ে আদালতের নির্দেশে ইন্দ্রজিৎ ধর চেয়ারম্যান হয়েছেন। আমি সমস্ত বিষয়টি দল ও অভিভাবক এমপি আবু তাহের খানকে জানিয়েছি। পরবর্তীতে দল যে সিদ্ধান্ত নেবে মাথা পেতে নেব। 
  • Link to this news (বর্তমান)