সংবাদদাতা, বেলদা: আদিবাসী অধ্যুষিত কেশিয়াড়ি এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে ‘প্রত্যুষা জীববৈচিত্র্য ও শিশু বিনোদন উদ্যান’ তৈরি হয়েছে। শীতের মরশুমে জমজমাট এই বিনোদন পার্ক। জেলার পাশাপাশি ভিনজেলা থেকেও মানুষ এই পার্কে আসছেন। বড়দিনে ভালো ভিড় হয়েছিল। নববর্ষেও এখানে ভালো ভিড় হবে বলে মনে করছেন পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মহিলারা।
২০২০ সালে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে প্রত্যুষা পার্ক তৈরি হয়েছিল। কেশিয়াড়ি বাজার থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে কুলবনি যাওয়ার রাস্তার পাশেই এটি রয়েছে। ৫০ একরের মতো জায়গাজুড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই বিনোদন পার্ক তৈরি হয়েছিল। এখন এলাকার কয়েকজন মহিলা লিজ নিয়ে পার্কটি চালাচ্ছেন। পার্কের দায়িত্বে থাকা মৌমিতা মিশ্র, মণিদীপা রাউত বলেন, এখানে শিশুদের বিনোদনের নানা সরঞ্জাম, বোটিংয়ের ব্যবস্থা, পিকনিক করার পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। পুরো পার্কজুড়ে রাজহাঁস, খরগোশ, টার্কি সহ নানা ধরনের পাখি ও প্রাণীর সমাহার রয়েছে। সরকারিভাবে পার্কটি তৈরি হলেও আমরা লিজ নিয়ে পার্কটি নানাভাবে সাজিয়ে তুলেছি। রোজ এখানে বহু মানুষ ভিড় করছেন।
এই পার্কে বেড়াতে এসেছিলেন প্রবাসী ভারতীয় গোপীনাথ ভট্টাচার্য। তিনি সুদূর সুইজারল্যান্ডে থাকেন। গোপীনাথবাবু বলেন, দেশে আসার পর এই পার্কে ঘুরে খুবই ভালো লাগল। কেশিয়াড়ির মতো পিছিয়ে পড়া এলাকায় এত ভালো বিনোদন পার্ক হয়েছে, এটা আনন্দের বিষয়। বাড়ি ফিরে সবাইকে এই পার্কের কথা বলব।
কেশিয়াড়ির বাসিন্দা প্রদীপ শাসমল বলেন, আমাদের প্রত্যন্ত এলাকায় এই পার্কটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই রুজিরুটির জন্য এই পার্কের উপর নির্ভরশীল। মিষ্টি ও নানারকম খাবারের দোকান এই পার্কের রয়েছে। এছাড়া, রাজ্য সরকারের নানা ধরনের স্টলও আছে। খড়্গপুর আইআইটি, রেল সহ নানা দপ্তরের তরফে এই পার্কে পিকনিকের আয়োজন করা হয়। এলাকার মানুষের আশা, নতুন বছরে এই পার্ক আরও জমজমাট হয়ে উঠবে।-নিজস্ব চিত্র