সংবাদদাতা, মালদহ: পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে আহ্বানের পালা। সেই উত্সবের আনন্দে যেন আত্মহারা গৌড়বঙ্গ। বছরের শেষ দিন উৎসবের মেজাজেই কাটালেন গৌড়বঙ্গবাসী। আট থেকে আশি গা ভাসাল উৎসবে। কেউ দল বেঁধে পিকনিক করলেন। অনেকে লং-রাইড, আবার কেউ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আনন্দ নিলেন। সাধারণ মানুষদের মতো চরম ব্যস্ততা ছিল ভিআইপি ও জনপ্রতিনিধিদেরও। এক অনুষ্ঠান থেকে অন্যত্র ছুটে বেরালেন তাঁরাও। উৎসবের মেজাজকে তুঙ্গে নিয়ে গিয়েছে গৌড়বঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত কার্নিভাল। অনেকটা দুর্গাপুজোর মেজাজের পুনরাবৃত্তি দেখা গেল বছরের অন্তিম দিনে। সব মিলিয়ে বছরের শেষদিনে উৎসবে শামিল হল আমজনতা। মাঝরাতে তাঁরা সাদরে আমন্ত্রণ জানালেন নতুন বছরকে। প্রার্থনা করলেন, সব যেন ভালো হয়।
মালদহে কার্নিভাল ঘিরে এদিনও ছিল উচ্ছ্বাস। ইংলিশবাজার পুরসভা ছাড়াও মালদহ শহরে কার্নিভাল হয়েছে ভবানী মোড় এবং চাঁচলে। এছাড়াও পুরাতন মালদহেও হয়েছে অনুষ্ঠান। কার্নিভালের পাশাপাশি শতাব্দীপ্রাচীন মালদহ ক্লাবেও ছিল বর্ষশেষের বর্ণময় অনুষ্ঠান। একই সঙ্গে বিভিন্ন হোটেলেও ছিল পুরানো বছরের বিদায় উপলক্ষ্যে উৎসবের বিশেষ আয়োজন। ছিল ঢালাও খানাপিনার বন্দোবস্ত। তাতে মোটা টাকা খরচ করে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে অনেককেই। আবার মালদহের বিভিন্ন ক্লাবেও ছিল পিকনিকের আয়োজন। পরিবার সহ এদিন নৈশভোজ সারেন অনেকে। বেশকিছু সংগঠনের পক্ষ থেকে এদিন দুঃস্থদের জন্য মধ্যাহ্নভোজনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
বছর শেষদিন পিকনিক পার্টির ব্যাপক উচ্ছ্বাস, উল্লাসে জমজমাট রায়গঞ্জ শহর ও সংলগ্ন এলাকার বহু প্রান্ত। দিকে দিকে পিকনিকের আসর বসে। সঙ্গে নাচগান হই-হুল্লোড় চলে। রাতভর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন হয়েছে। শহরের কাছে আব্দুলঘাটা এলাকায় বহু মানুষ পিকনিকের আসর বসিয়েছিলেন। স্কুলে স্কুলে ছোটদের পরীক্ষা শেষ। রেজাল্ট বেরিয়েছে। সব মিলিয়ে বছর শেষের ছুটির মুডে পড়ুয়ারাও। তাঁদের দেখা মিলল সার্কাস ময়দান সহ কুলিক পক্ষীনিবাস, পার্ক, সিনেমা হলগুলিতে।
উৎসবের মেজাজে বালুরঘাট শহরও। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষ্যে শহরে নানা জায়গায় চলে অনুষ্ঠান। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বালুরঘাট শহর সহ আশেপাশের অঞ্চলেও পিকনিকের আসর বসে। এদিকে বালুরঘাটের নানা জায়গায় মেলা শুরু হয়েছে। নববর্ষের দিন বালুরঘাটের গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল স্থান, পার্ক, রেস্টুরেন্ট, সিনেমা হল সহ নানা জায়গায় ভিড় হয়। তাই পর্যাপ্ত পুলিস মোতায়েন থাকবে। পুলিসের তরফে নানা জায়গায় নজরদারি চলছে বলে ডিএসপি হেডকোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ জানিয়েছেন।