বছরের শেষদিন সায়েন্স শো জমজমাট, অবাক চোখে দেখল শিশুরা
বর্তমান | ০১ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সাদা, লাল বেলুনের উপর লেজার আলো ফেললেই সশব্দে তা ফেটে যাচ্ছে। কিন্তু বেলুনের রঙ নীল হলেই ফাটার নাম নেই। এটা কি ম্যাজিক? চোখ গোল গোল করে দেখছে কচিকাঁচারা। জ্বলতে থাকা বাল্বের নীচে হাওয়ার বেগ দিলেই ম্যাজিক। হাওয়ায় ভাসছে সেই বাল্ব। কীভাবে সম্ভব? বালিগঞ্জের বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামে (বিআইটিএম) এমন সব কাণ্ড দেখে বছরের শেষদিন চোখ চড়কগাছ শিশুদের। অবাক চোখে ফুটল প্রশ্ন, এটা কীভাবে হয়?
আজ অর্থাত্ পয়লা জানুয়ারিতেও সায়েন্স শো হবে বিআইটিএমে। মঙ্গলবার খোলা আকাশের নীচে হল সায়েন্স শো। যা দেখতে, শিশু থেকে বড়রা ভিড় করলেন। সোনালী হালদার নাম এক পড়ুয়ার মা বললেন, ‘ভিক্টোরিয়া-চিড়িয়াখানা তো সারাবছর থাকবে। কিন্তু এরকম সায়েন্স শো দেখলে বাচ্চারা আনন্দ পায়। তার সঙ্গে যেটা বইতে পড়ছে, সেগুলো হাতে-কলমে জানতেও পারে।’ বিআইটিএমে’র আধিকারিক তরুণকুমার দাস একেবারে মজার ছলে এই সমস্ত শো দেখালেন। খেলা দেখানোর মতো বুঝিয়ে দিলেন বিজ্ঞানের কঠিন বিষয়। বলতে বলতে
ডাক পড়ল অষ্টম শ্রেণির
উজানের। তার হাতে নীল বেলুন। সে ডেকে নিল তার বোনকে। বোনের হাতে সাদা বেলুন। সেই সাদা বেলুনের সামনে নীল বেলুন ধরা হল। নীল বেলুনে লেজার ফেলা হল কিন্তু বেলুন আর ফাটছে না। নীল বেলুন সরাতেই ফেটে গেল সাদা বেলুন। বোঝানো হল, এভাবেই নানা ধরনের রশ্মি পৃথিবীতে কীভাবে প্রবেশ করতে পারে না। দেখানো হল, তরল নাইট্রোজেনের বিক্রিয়া। হাওয়ার চাপে কীভাবে ভাসতে থাকে বিভিন্ন বস্তু? তাও দেখল
বাচ্চারা। বছর শেষে এত কিছু দেখে উচ্ছ্বসিত কচিকাঁচারা। অনেকের কাছে এসব ম্যাজিক, আবার একটু বড়দের কাছে বইয়ের পাতার পড়া চোখের সামনে উঠে এল। নিজস্ব চিত্র