• ডিজিটাল অ্যারেস্ট: অর্ধেক টাকা ফেরাল বারাসত সাইবার থানা
    বর্তমান | ০১ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: বারাসতের কোকাপুরের বাসিন্দা সেলিম আহমেদ। ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁর নম্বরে একটি ফোন এসেছিল। অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, সেলিম আহমেদ নামে একটি পার্সেল বুকিং হয়েছে। সে’টি মুম্বই থেকে ইরানে যাচ্ছে। কিন্তু পার্সেলে মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট, ডেবিট কার্ড সহ বিভিন্ন জিনিস আছে। এইসবের ওজন পাঁচ কেজি। পার্সেলে সন্দেহজনক জিনিস থাকায় মুম্বই পুলিস এফআইআর করেছে তাঁর নামে। এছাড়াও মুম্বই পুলিসের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে একটা নারকোটিক্সের মামলাও রয়েছে। দ্রুত এর তদন্তের জন্য তাঁকে মুম্বই আসতে হবে। না হলে তাঁকে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ করা হবে। তবে এসব থেকে বাঁচতে পারেন, যদি তিনি টাকা পাঠাতে রাজি থাকেন। সেজন্য প্রতারকরা একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরও দেয়। তাতে দু’দফায় ২১ লক্ষ টাকা জমা করে দেন পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী সেলিম। কিন্তু এরপরে ওই নম্বরে ফোন করে আর যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরেই ২৭ সেপ্টেম্বর বারাসত সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন। তদন্ত চালিয়ে ওই অ্যাকাউন্টটি ফ্রিজ করে পুলিস। খোয়া যাওয়া ২১ লক্ষ টাকার মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ১০ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা। মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়া টাকা প্রতারিত ব্যক্তি সেলিম আহমেদের হাতে তুলে দেয় বারাসত সাইবার ক্রাইম থানা। এনিয়ে সাইবার পুলিসের এক কর্তা বলেন, অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আগেই অর্ধেক টাকা প্রতারকরা তুলে নেয়। অ্যাকাউন্টে পড়ে থাকা ১০ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা উদ্ধার হয়ছে। প্রতারকদের হদিশ পেতে তদন্ত চলছে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)