তালিকায় কেন্দ্রীয় সরকারের ছুটির (এনআই অ্যাক্ট অনুযায়ী) পাশাপাশি রয়েছে রাজ্যেরও ছুটিও। এ ছাড়াও ব্যাঙ্কের কিছু আলাদা ছুটি তো থাকছেই।তবে বেশ কয়েকটি সরকারি ছুটি সপ্তাহান্তে পড়ায় মাথায় হাত অনেকেরই।
এনআই অ্যাক্ট, ১৮৮১ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তর প্রতি বছর ছুটির একটি তালিকা তৈরি করে। নতুন বছরে সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জন্য ২৫টি ছুটি। এ বার সরস্বতী পুজোর পরদিন অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার ছুটি দিয়েছে রাজ্য। দোলযাত্রার পরে দিন ১৫ মার্চ শনিবার ছুটি থাকছে। ইদ-উল-ফিতরের পরের দিন ১ এপ্রিল, মঙ্গলবারও ছুটি থাকছে। আবার ইদুজ্জোহার আগের দিন ৬ জুন পড়েছে শুক্রবার। সেদিনও ছুটি থাকছে। ফলে টানা তিন দিন ছুটি পাবেন রাজ্যের কর্মীরা।
এবার রথযাত্রা পড়েছে শুক্রবার, ফলে সে ক্ষেত্রে টানা তিন দিন ছুটি মিলবে। ফাতেহা-দোয়াজ দাহামও শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর। ফলে ছুটি টানা তিন দিন। দুর্গাপুজোর চতুর্থী ২৬ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার। রাজ্যের ছুটি শুরু সেদিন থেকেই। লক্ষ্মীপুজোর পরের দিন মঙ্গলবারও ছুটি দেওয়া হয়েছে। কালীপুজোর পরের দিন, ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার পরের দিন এবং ছট পুজোর পরের দিনও এক দিন করে অতিরিক্ত ছুটি থাকছে।
এ ছাড়াও, শিখ সম্প্রদায়ের জন্য প্রকাশ পরব উপলক্ষে ৬ জানুয়ারি ছুটি দেওয়া হয়েছে। গুরু রবিদাসদের ভক্তদের জন্য তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১২ ফেব্রুয়ারি ছুটি দিয়েছে রাজ্য সরকার। খ্রিস্টানদের জন্য ১৯ এপ্রিল ইস্টার স্যাটারডে ছুটি থাকছে। ৩০ জুন হুল দিবসেরও ছুটি থাকবে। রবিবারে পড়েছে এমন ছুটির মধ্যে রয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী (১২ জানুয়ারি), প্রজাতন্ত্র দিবস (২৬ জানুয়ারি), রামনবমী (৬ এপ্রিল) এবং মহরম (৬ জুলাই)। করমপুজো উপলক্ষেও রাজ্য সরকার ছুটি রেখেছে তালিকায়। কিন্তু এখনও সেই তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।