আর ফাঁকিবাজি নয়! ১০টা ৪০-এর পরে স্কুলে এলেই লেটমার্ক, মোবাইল নিয়েও কড়াকড়ি
হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ জানুয়ারি ২০২৫
এবার ফাঁকিবাজির দিন শেষ! শিক্ষকরা যখন খুশি স্কুলে আসবেন আর যখন খুশি বেরিয়ে যাবেন কোথায় কোনও কড়াকড়ি থাকবে না সেই দিন আর থাকছে না। ২০২৫ সালের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার এবং টিচার্স ডায়েরি প্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেখানে ক্লাসের সময়, নম্বর বিভাজনের পাশাপাশি আরও কয়েক দফা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেখানে অত্যন্ত দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের নির্দিষ্ট সময়ে হাজিরার বিষয়টি নির্দিষ্ট করা। সেখানে কোথাও যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে সেটা দেখা দরকার। তবে এই নির্দেশিকা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে।
এদিকে বহু স্কুলে দেখা যায় শিক্ষক শিক্ষিকারা মোবাইলে ব্যস্ত। এনিয়ে বার বার বলেও হুঁশ ফেরেনি। তবে এবার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে স্কুলের মধ্য়ে পড়ুয়ারা মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে না। আর শিক্ষকদের জন্যও মোবাইল নিয়ে কিছুটা কড়াকড়ি থাকছে। সেখানে বলা হচ্ছে স্কুলের ক্লাসে ও ল্যাবে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ ক্লাসে বসে পড়ুয়াদের টাস্ক দিয়ে মোবাইলে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন শিক্ষক সেটা আর নয়। এক্ষেত্রে বলা হচ্ছে ক্লাসের মধ্যে শিক্ষকরাও মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। আর পড়াশোনার সুবিধার জন্য ক্লাসে মোবাইল ব্যবহার করতে হলে সেটা প্রধান শিক্ষকের কাছে অনুমতি নিতে হবে।
সূত্রের খবর, সেই নির্দেশিকায় স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মীদের হাজিরা নিয়ে নির্দিষ্ট কথা বলা হয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে চলতে হবে তাঁদের। সেই নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষক শিক্ষিকাদের সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের মধ্য়ে স্কুলে আসতেই হবে। স্কুলের প্রার্থনা শুরু হবে সকাল ১০টা বেজে ৪০ মিনিটে। এরপর কোনও শিক্ষক শিক্ষিকা যদি স্কুলে যান তবে তাঁর জন্য বরাদ্দ থাকবে লেট মার্ক। এখানেই শেষ নয়, কোনও দিন যদি স্কুলে আসতে ১১টা ১৫-র বেশি হয়ে যায় তবে তাঁকে অনুপস্থিত বলে গণ্য করা হবে। এমনকী কতক্ষণ স্কুলে থাকতে হবে সেটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত থাকতেই হবে। কিন্তু শনিবার অর্ধদিবস বা কোনও দিন যদি নির্ধারিত সময়ের আগে ছুটি হয়ে যায় তাহলে কী করতে হবে সেটা নিয়েও কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে।
তবে এখানে একটা প্রশ্ন উঠছে ছাত্ররা যাতে সঠিক সময়ে স্কুলে আসে সেটা দেখার জন্য শিক্ষকরা রয়েছেন। কিন্তু শিক্ষকদের দিনের পর দিন ধরে ফাঁকিবাজি দেখবেন কারা? প্রধান শিক্ষকের কথা কি আদৌ শোনেন সহ শিক্ষকরা?