• ১৫ বছরের নীচে কিশোরদের মোবাইল নিষিদ্ধ, কলকাতায় বড় সিদ্ধান্ত দাউদি বোহরাদের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ জানুয়ারি ২০২৫
  • বহু বাড়িতেই বর্তমানে একই ছবি। রাত দিন মোবাইল দেখছে বাড়ির বাচ্চারা। একেবারে আসক্ত হয়ে পড়েছে তারা। পড়াশোনা, স্বাভাবিক জীবনযাপন সব লাটে উঠেছে। অনেকে আবার মোবাইল ছাড়া খেতেই পারে না। আসক্তি এমন জায়গায় চলে গিয়েছে। ক্রমেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে যাচ্ছে। 

    তবে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল দাউদি বোহরা সম্প্রদায়। কিছুদিন ধরে কলকাতার দাউদি বোহরা সম্প্রদায় বাচ্চাদের মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বলে খবর। তবে মোবাইল থেকে দূরে রাখলেই তো হবে না ওই সময়টাতে তাদের তো অন্য় কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। সেটাও করেছে ওই সম্প্রদায়ের অভিভাবকরা। এবার তাঁদের বাচ্চাদের শীতকালীন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। কাউকে আবার বোর্ড গেম ও বই কিনে দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগজনই পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্য নানা উপায় বের করেছেন। 

    কিন্তু কেন আচমকা তাঁরা বাচ্চাদের মোবাইল থেকে দূরে রাখার এই চেষ্টা করছেন? আসলে তার নেপথ্যে রয়েছে এই সম্প্রদায়ের এক সুপ্রিম লিডার সৈয়দনা মুফাদ্দল সইফুদ্দিনের একটা ফরমান। তিনি কার্যত ফরমান জারি করেছিলেন গোটা বিশ্বে তাঁদের সম্প্রদায়ের অধীনে যে বা্চ্চা রয়েছে যাদের বয়স ১৫ বছরের নীচে তাদের মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখতে হবে। 

    সূত্রের খবর, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়াতেও কিছু ক্ষেত্রে  এই নিয়ম কার্যকরী হয়েছে। মূলত শিশু, কিশোরদের মধ্য়ে স্ক্রিন টাইম কমানোর জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ। একাধিক ইউরোপের দেশ যেমন ফ্রান্স, ইতালি, পর্তুগাল, ইংল্যান্ডে স্কুলে এই সেলফোনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকী অস্ট্রেলিয়াতে ১৬ বছরের নীচে শিশুরা যাতে সোশ্য়াল মিডিয়াতে আসক্ত হতে না পারে তার জন্য নির্দিষ্ট বিধিও রয়েছে। 

    টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে সইফি গোল্ডেন জুবিলি ইংলিশ পাবলিক স্কুল যেটা সইফি হল নামে পরিচিত সেখানে এবার বেশি করে খেলার কর্মসূচি নিয়ে আসা হচ্ছে। স্কুলের সেক্রেটারি সইফুদ্দিন মন্দভিওয়ালা জানিয়েছেন, কীভাবে বাচ্চাদের মোবাইল থেকে দূরে রাখা হবে তা নিয়ে অভিভাবকদেরও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

    তিনি জানিয়েছেন, ৯০ শতাংশের বেশি বাবা মা বাচ্চাদের বুঝিয়ে মোবাইল ফোন থেকে দূরে রেখে দিতে সমর্থ হয়েছেন। অনেকেই চাইছেন বাচ্চাদের স্ক্রিন টাইম কমাতে কিছু একটা করতে। 

    তবে অনেকের মতে, এই মোবাইল ফোন আসক্তির পেছনে বাবা মায়েরও একটা দায় রয়েছে। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)