১১ জানুয়ারি থেকে সাগর আরতি, ই স্নান, ডিজিটাল ব্যান্ড, আর কী কী থাকছে গঙ্গাসাগরে?
হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ জানুয়ারি ২০২৫
সামনেই গঙ্গাসাগর মেলা। তার আগে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। হাজার হাজার পূণ্যার্থী আসেন এই গঙ্গাসাগরে। তার আগে চলছে এই বিরাট কর্মযজ্ঞ। কোথাও যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে সেটা দেখা হচ্ছে। এবারের মেলাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকেও কাজে লাগানো হচ্ছে। সোমবার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, জেলা সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি, এসপি সুন্দরবন পুলিশ জেলা কোটেশ্বর রাও সহ পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা সাংবাদিক বৈঠকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন।
সাংবাদিক বৈঠকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, প্রত্যেক ভেসেল, প্রত্য়েক অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে জিপিএস ট্র্যাকার থাকবে। লাইভ লোকেশন বোঝা যাবে। ড্রেজিং ভালো হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা, ড্রোনের নজরদারি থাকবে। ফগ লাইট থাকবে। ১৫০টি মতো এনজিও থাকবে। ভারত সেবাশ্রম সংঘ সহযোগিতা করছে। বিচ পরিষ্কারের সব ব্যবস্থা করা হবে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ২০২৫ এর গঙ্গাসাগর। জুন জুলাই থেকে প্রস্তুতি হচ্ছিল। বিভিন্ন রুটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। প্রতি বছরই মেলাকে আমরা নতুন মেলা হিসাবে নিয়ে থাকি। ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ড্রোনের নজরদারি থাকবে। ওয়াচটাওয়ার থাকবে। বিচের উপর লাইটিং থাকবে।
এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে। ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে। ওয়াইফাই ব্যবস্থা থাকবে। এবার গ্রিন গঙ্গাসাগর মেলা। মহাসাগর আরতি হবে। ১১-১২-১৩ জানুয়ারি এই তিনদিন সাগর আরতি হবে। ১৪ই জানুয়ারি ২০২৫ পূণ্যস্নান। কিউ আর কোড থাকবে। সেটা স্ক্যান করলে যাবতীয় তথ্য় পেয়ে যাবেন। ই দর্শন, ই স্নানের ব্যবস্থা থাকবে। ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন। বয়স্ক ও বাচ্চারা যাতে হারিয়ে না যায় সেটা দেখা হবে। তাদের হাতে ব্যান্ড পরানো হবে। সেখানে স্ক্যান করলেই অভিভাবকদের নাম ও ফোন নম্বর পাওয়া যাবে। সেকারণে কিউ আর কোডের ব্যবস্থা থাকবে ওই ব্যান্ডে।
এবার প্লাস্টিক ফ্রি গঙ্গাসাগর মেলা হবে। ১১ তারিখ থেকে সাগর প্রবচন শুরু হয়ে যাবে। সাগর আরতি করা হবে। সাড়ে পাঁচটার পর থেকে ১১-১২ ও ১৩ই জানুয়ারি সাগর আরতি হবে। ১৪ তারিখে পূন্যস্নান। ১৪ তারিখ সন্ধ্য়া থেকে পূণ্যার্থীরা চলে যাবেন। তারপর থেকে সৈকত পরিষ্কার করার কাজ করা হবে।
গঙ্গাসাগরের ৫টা পয়েন্টে নজরদারি থাকবে। হারিয়ে যাওয়ার প্রবণতা এড়াতে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গঙ্গাসাগরে অনেকেই প্রচন্ড ভিড়ে হাত ছিটকে বেরিয়ে যান। সেক্ষেত্রে তাদের সেই সমস্যা দূর করতে হাতে বিশেষ ধরনের ব্যান্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেটা তাদের হাতে পরানো হবে। তাতে থাকবে কিউআর কোড।