সিউড়ি কলেজ পাড়ায় বাড়ি সুপ্রিয়দের। বিএসসি-বিএড করে বাড়িতেই কোচিং সেন্টার খোলেন তিনি। সঙ্গে জেরক্স সেন্টারও রয়েছে তাঁর। দাদা সত্যপ্রিয় দাস জানান, উপরের ভাই একা ঘুমোয়। তাই প্রায় রোজই মা একবার উপরে গিয়ে দেখে আসেন।
সুপ্রিয়র দাদার দাবি, এ দিন রাত ১২টা নাগাদ একটা জোরালো শব্দ তাঁদের কানে আসে। তবে চারদিকে বর্ষবরণের বাজি ফাটছিল। তাই সেই শব্দকে বাজির শব্দ বলেই ধরে নেন তাঁরাও। পরে রাত ১টা ২০ নাগাদ উপরে যান সুপ্রিয়র মা।
সত্যপ্রিয় দাস বলেন, ‘মা গিয়ে দেখে ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মা আমাকে ডাকে। দেখি বাঁ দিক দিয়ে রক্ত পড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা থানায় খবর দিই। পুলিশ এসে সবটা দেখে। পুলিশও প্রাথমিক ভাবে মনে করেছিল, হেডফোন বা মোবাইল ফেটে এটা হতে পারে। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ওকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে একবার পুলিশ এসেছিল বাড়িতে। ভালো করে ঘরে তল্লাশি চালায়। তবে তেমন কিছু পায়নি। ময়নাতদন্তের পর জানতে পারব।’
এর আগে বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোন ফেটে মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। কিন্তু হেডফোন ফেটে মৃত্যু সচরাচর কানে আসে না। মোবাইল ফোন, হেডফোন নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরাও বলছেন, এমন ঘটনা বিরল। ইলেকট্রনিক ডিভাইসে সাধারণত ব্যাটারি বা ক্যাপাসিটর ফাটে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হেডফোন বড় জোর পুড়ে যেতে পারে। তাতে ব্যাটারি বা ক্যাপাসিটর না থাকায় ফাটার সম্ভাবনা নেই। তবে ব্লুটুথ হেডফোন হলে তা ফাটতে পারে। কারণ, ব্লুটুথ হেডফোনে চার্জিংয়ের বিষয় থাকে। স্পিকারের অডিও সিগন্যাল পৌঁছনোর জন্যও যে এমপ্লিফায়ার সার্কিট তৈরি করা হয়, তাতেও বেশ কিছু এই ধরনের জিনিসের ব্যবহার করা হয়।