এই সময়, ক্যানিং: আবাসের টাকা ঢুকেছে স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে। তা জানতে পারেন মদ্যপ স্বামী। মদ খাওয়ার জন্য স্ত্রীর থেকে ওই টাকা চায় সে। কিন্তু স্ত্রী তা না দেওয়ায় শুরু হয় অত্যাচার। অভিযোগ, স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে। বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। শেষে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় মদ্যপ স্বামী। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব শিবনগর গ্রামে। পুলিশ শওকত গাজি নামে ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
লালমণি গাজি নামে ওই মহিলা জানান, স্বামী কোনও কাজ করেন না। জুয়া খেলা তাঁর নেশা। প্রতিবেশীরা জানান, প্রত্যেকদিন মদ খেয়ে বাড়ি ফিরতেন। মারধর করতেন স্ত্রীকে। মদের টাকা না দিলেই চলত আরও বেশি অত্যাচার। এ দিকে, লালমণি কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালান। তাতেই তিনি হিমশিম খেতেন।
তার মধ্যে মদ–জুয়ার জন্য টাকা নিয়ে চলত অশান্তি–মারধর। সোমবার সকালে জুয়ায় হেরে গিয়ে মদ্যপান করে বাড়ি এসে স্ত্রীকে মারধর করে শওকত বলে অভিযোগ। এর মধ্যেই বিকেলে আবাসের ৬০ হাজার টাকা ঢোকে লালমণির অ্যাকাউন্টে। তা জানতে পেরে স্ত্রীর কাছ থেকে ওই টাকা চায় শওকত। মদ ও জুয়া খেলার জন্যই ওই টাকা হাতানোর চেষ্টা করে শওকত বলে অভিযোগ। কিন্তু ওই টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে মারধর শুরু করে শওকত।
লালমণি বলেন, ‘এক চিলতে ঘরে থাকতাম। অনেক ছোটাছুটি করে আবাসের তালিকায় নাম তুলেছিলাম। সেই টাকাই ঢুকেছে। টাকা দিইনি দেখে আমায় মারধর করে। বাড়িটাও জ্বালিয়ে দিল।’ স্ত্রীকে মারধরের পর শওকত বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রতিবেশীরা এসে সেই আগুন নেভান। রাতেই গ্রাম ছেড়ে পালায় শওকত। খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কোনও রকমে পোড়া বাড়িতে রয়েছেন লালমণি। তিনি ক্যানিং থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।