• সীমান্ত–গ্রামে ৫০ সিসিটিভি ক্যামেরা
    এই সময় | ০১ জানুয়ারি ২০২৫
  • আশিস নন্দী ■ বনগাঁ

    পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় কোনও বাহিনী নয়— সীমান্ত লাগোয়া এলাকার গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসাল গ্রাম পঞ্চায়েত। এবং পাঁচ–১০টি নয়, ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা।

    বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকাগুলোয় আগের তুলনায় নজরদারি বেড়েছে অনেকটাই। তার পরেও বেআইনি ভাবে, চোরাপথে সীমান্ত টপকে বাংলাদেশের নাগরিকদের কেউ কেউ এ পারে ঢুকে পড়ছেন, ইতিমধ্যে ধরাও পড়ছেন তাঁদের একাংশ। বাংলাদেশে অশান্তির মধ্যেই এ রাজ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন সব সন্দেহভাজন জঙ্গিকে, যারা বাংলাদেশের নাগরিক।

    সে জন্য বিএসএফ, পুলিশের নজরদারির পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বনগাঁর ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যশোহর রোড লাগোয়া তল্লাট এবং ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে এখন ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদার–চোখ। পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, সে জন্য খরচ হয়েছে ৬ লক্ষ টাকা।

    বনগাঁর ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তিন দিকেই ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত। বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতিতে ও পার থেকে চোরাপথে এ পারের ছয়ঘরিয়া গ্রামে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে ওই তল্লাটের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই। আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। সে জন্য ওই সীমান্ত লাগোয়া পঞ্চায়েত এলাকার মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে তল্লাটের অনেকটাই পঞ্চায়েতের তরফে মুড়ে দেওয়া হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়।

    ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিদাসপুর ও জয়ন্তীপুর এবং অন্য কয়েকটি সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, যশোহর রোড লাগোয়া তল্লাটে ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের পাশাপাশি বনগাঁ পুলিশ সুপারের অফিস এবং পেট্রাপোল থানা থেকেও ওই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোর সমস্ত ফুটেজ মনিটর করা হবে।

    পঞ্চায়েতের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের এক জন, জয়দেব বিশ্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কাঁটাতার টপকে অনুপ্রবেশ ঘটছে। আমাদের গ্রাম একেবারেই সীমান্ত লাগোয়া। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিরাও ঢুকে পড়তে পারে। এই নিয়ে গ্রামের মানুষদের মধ্যে ভয় ছিল। এ বার পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ফলে আতঙ্ক কাটল।’ আর এক জন গ্রামবাসী দীপালি নস্কর বলছেন, ‘আমাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পঞ্চায়েত খুব জরুরি একটা কাজ করল। এটা আমাদের স্বস্তি দিয়েছে।’

    পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষের বক্তব্য, ‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে লাগোয়া ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।’ প্রধান উমা ঘোষ বলছেন, ‘শুক্রবার ওই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভাবে চালু করা হয়েছে পুলিশ অফিসারদের উপস্থিতিতে।’

  • Link to this news (এই সময়)