আরাবুল বলেন, ‘আমি যতদিন বেঁচে থাকব, তৃণমূল কংগ্রেসের ঝান্ডা ধরব। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে চলব। যাঁরাই আক্রমণ করুক বা গাড়ি ভাঙচুর করুক, সেটা পরিকল্পনা করে করেছে। শওকত মোল্লার নির্দেশে কয়েকজন সমাজবিরোধীরা আমার উপর আক্রমণ করেছে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে ভাঙড়ে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করতে যাচ্ছিলেন আরাবুল। সেখানেই আরাবুল ও শওকতের অনুগামীরা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। সেই সময়ে আরাবুলের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
যদিও, আরাবুল বলেন, ‘সরাসরি আমার উপরে হামলা হয়নি। আমি ওই গাড়িতে ছিলাম না। অন্য গাড়িতে ছিলাম।’ তবে তাঁর কথায়, ‘গাড়ি ভেঙে, আরাবুল ইসলামের উপর আক্রমণ করে আরাবুলকে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে হটানো যাবে না।’
অন্য দিকে এই হামলার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন বিধায়ক শওকত মোল্লা। শওকত বলেন, ‘ও দলের কেউ না। ওঁর সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই। কেউ কেউ ভাঙড়কে নতুন করে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই।’ শওকতের দাবি, ‘ওখানে একবার পতাকা উত্তোলন হয়ে গিয়েছিল। সেই পতাকা নামিয়ে ফের উত্তোলন করতে গিয়েছে। সেই কারণে গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে আক্রমণ করেছে।’