এ নিয়ে মঙ্গলবার সাত সকালে রেলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে সিঙ্গুর লোকাল চালু রাখার দাবি করেন সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্না। সিঙ্গুর স্টেশনে হাজির হয়ে প্ল্যাটফর্মে প্রায় ঘণ্টা খানেক অবস্থান–বিক্ষোভ করেন তিনি। আজ, বুধবার প্রয়োজনে সিঙ্গুরবাসী রেল অবরোধ করবে বলে জানান বেচারাম ও তাঁর দলবল। কর্মসূচিতে ছিলেন হরিপালের বিধায়ক করবী মান্নাও।
সিঙ্গুর জমি আন্দোলনকে স্মরণীয় করে রাখতে কেন্দ্রের ইউপিএ–এর জমানায় তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল ট্রেন চালু করেছিলেন। একটি সকাল ৮টা ও অন্যটি সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ছাড়া হতো। সম্প্রতি রেল মন্ত্রক একটি নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেয় ওই একজোড়া লোকাল ট্রেন কামারকুণ্ডু ও তারকেশ্বর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। ফলে সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল বলে আর কিছু থাকবে না। এই নিয়ে আপত্তি তোলেন সিঙ্গুরবাসী।
বেচারাম বলেন, ‘সে সময়ে অনেক রক্তক্ষয় হয়েছে। এই আন্দোলনের জেরে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর কৃষকেরা জমি ফেরত পেয়েছেন। দেশের জমি অধিগ্রহণ আইনকে সংশোধন করতে হয়েছে। তাই আমরা রেলের কাছে দাবি করেছি সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল রাখতে হবে। প্রয়োজনে অন্য ট্রেন দিক। কিন্তু সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল বন্ধ করা যাবে না।’
পূর্ব রেলের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত বলেন, ‘রেলের পরিষেবা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সেই কারণে একজোড়া লোকাল ট্রেন যেটা সিঙ্গুর পর্যন্ত চলত, তা তারকেশ্বর ও হরিপাল পর্যন্ত চলবে। রেল দপ্তর আগেই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে।’ সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল বলে রেলের কাগজে কলমে কোনও তথ্য নেই বলেও দাবি করেন তিনি।