বুদ্ধদেব ঘোষ জানান, ছেলের বিয়ের চেষ্টা চলছে। কথাও হয়েছে। কিন্তু পাত্রীপক্ষের তরফে ছেলের বাড়ি দেখতে এসেই সম্বন্ধ নাকচ করে দিয়েছে। কাঁচা বাড়ি, টিন দিয়ে ঘেরা, উপরে ত্রিপল ঝুলছে। কে আর এমন ঘরে মেয়ের বিয়ে দেবে, বলছিলেন বুদ্ধদেব। তবে এ বার নতুন করে আবার ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখা শুরু করবেন বলে জানালেন।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ) প্রকল্পে রাজ্যের মোট ১২ লক্ষ যোগ্য পরিবারকে বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। ৬০ হাজার টাকা করে দু’বারে মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। প্রথম ধাপের টাকা ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছেন উপভোক্তারা। যেমন পেয়েছেন কৃষ্ণগঞ্জের বুদ্ধদেব ঘোষ।
রাজমিস্ত্রি কাজ শুরু করে দিয়েছেন। মাটি খুঁড়ে লোহার বিম বসানো চলছে। জোর কদমে কাজ এগোচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানাথন জেলাশাসকদের পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, টাকা প্রাপকদের উপরে চারটি পর্যায়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের নজরদারি চালাতে হবে।
নিয়ম মেনে প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ির বিম বা লিন্টেল পর্যন্ত নির্মাণ শেষ করতে হবে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকায় শেষ করতে হবে পুরো নির্মাণ। ওই টাকায় বাড়ি তৈরির কাজ না করলে সেক্ষেত্রেও আইনে কড়া পদক্ষেপের সুযোগ রয়েছে। অভিযোগ দায়ের করে উপভোক্তাকে গ্রেপ্তারও করা যায়।