বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের যুবক সদানন্দের ছোট থেকেই নেশা সাঁতার। ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে বড় সাঁতারু হওয়ার। কিন্তু একদিকে পরিবারের অভাব, অন্যদিকে প্রশিক্ষণের সুযোগ না মেলায় সদানন্দের স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছিল। কিন্তু জল নিয়ে তাঁর সাধনা থামেনি।
বাংলা হোক বা ইংরাজি নববর্ষ, বর্ষ সংখ্যার সমান সংখ্যক ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেন সদানন্দ। এ বারও তার অন্যথা হলো না। নববর্ষের দুপুরে হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যেই ততোধিক ঠান্ডা লালবাঁধের জলে একটানা ২০২৫টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিলেন তিনি। সময় লাগল মোট ৪৫ মিনিট।
সদানন্দ বলেন, ‘আমি ২০১৬ সাল থেকে নতুন বছরের সংখ্যা মিলিয়ে এই ডুব দিয়ে আসছি। প্রায় ১০ বছর হয়ে গেল। আমার ইচ্ছে আছে ডুব দিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডসে নাম তোলার। সেই চেষ্টায় আছি।’
সদানন্দের ডুব দেখতে হাজির ছিলেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা প্রকৃতি বারিক বলেন, ‘আমি আগের বছরেও এসেছিলাম। ওঁর এটা খুব ভালো উদ্যোগ। এরকম কোথাও দেখিনি। সাঁতার শেখার জন্য একটা ভালো বার্তা দেন উনি।’ আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘এরকম ঠান্ডা জলে ২০২৫টি ডুব ভাবা যায় না। আমরা সবাই ধারে দাঁড়িয়ে গুনছিলাম। দেখে বেশ মজা লেগেছে।’