প্রশাসন সূত্রে দাবি, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) শংসাপত্র হাতে পেয়েছিলেন কুসুম। কিন্তু বাম প্রার্থী হিমাংশুশেখর সাহার অভিযোগ, তিনি আসলে বিহারের বাসিন্দা। ফরাক্কার বাসিন্দা নারায়ণ সাহার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। নারায়ণের দূর সম্পর্কের ভাইপো ভবেশ সাহাকে নিজের ভাই হিসাবে দেখিয়েছিলেন কুসুম। সে ভাবেই জাতিগত শংসাপত্রটি লাভ করেন। ওবিসির জন্য ওই আসনটি সংরক্ষিত হওয়ায় তিনি প্রার্থী হন এবং তৃণমূলের হয়ে ভোটে জেতেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে কুসুমের পঞ্চায়েত প্রধান পদ খারিজ হয়েছিল। অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছিলেন। সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ফের ‘শুনানি’ হয় মহাকুমা শাসকের দফতরে। তার পর মঙ্গলবার কুসুমের পদ খারিজ করে জেলা প্রশাসন।
কুসুম বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আমি কলকাতার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি। কী ভাবে আমার পদ খারিজ হয়, বুঝতে পারছি না। আদালতে দ্রুত শুনানির আর্জি জানাব।’’
ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘কেউ অপরাধ করে থাকলে তার দায় দল নেবে না। পঞ্চায়েতের নতুন প্রধানের মনোনয়ন দেওয়া হবে।’’