পিকনিকের মজা বদলে গেল বিষাদে, নয়ানজুলিতে বাস, জখম ২০
বর্তমান | ০২ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: বছরের প্রথমদিন গোরুবাথানে পিকনিক। ৫৫ জন সওয়ারি নিয়ে সকাল সকালই মোয়ামারি থেকে রওনা হয়েছিল বাসটি। হাসি, মজা, অন্তাক্ষরিতে জমে ওঠেছিল নিউ ইয়ারের সকালটা। কিন্তু সেই হর্ষ মুহূর্তেই বদলে গেল বিষাদে। যাত্রা শুরু করার মাত্র পাঁচ কিমি দূরে পৌঁছতে না পৌঁছতেই দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি গিয়ে পড়ে নয়ানজুলিতে। একেবারে উল্টে যাওয়ায় বাসের ভিতর আটকে যান সকলেই। জানালার কাচ ভেঙে কোনওরকমে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। ঘটনায় ২০ জন জখম হন। একজনের মাথা ফেটেছে। বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ পুণ্ডিবাড়ি থানার মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালপানিতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রাই উদ্ধার কাজে নামেন। খবর পেয়ে পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিস পৌঁছয়। বাসযাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই পড়ুয়া।
মোয়ামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মের বাজার এলাকার একটি কোচিং সেন্টার থেকে এই পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। পড়ুয়াদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকরাও যাচ্ছিলেন। পিকনিক নিয়ে সকলের মনেই উৎসাহ ছিল ব্যাপক। ফলে সকাল সকাল তৈরি হয়ে সকলেই রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু কিছু দূর যেতেই বিপত্তি।
ধর্মের বাজার এলাকার বাসিন্দা মন্টু দাস বলেন, আমার ছেলে ওই বাসে ছিল। বাসটি কালপানি এলাকায় একটি কালভার্ট পার হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে। অনেকেই জখম হয়েছেন। ছোট আঠারো কোঠার বাসিন্দা লক্ষেশ্বর দাস বলেন, স্থানীয় কোচিং সেন্টার থেকে পিকনিকের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। চালককে ওই রাস্তায় যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। তিনি শোনেননি। অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা হয়েছে। বছরের শুরুর দিন পিকনিকে যেতে গিয়ে এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে স্বপ্নেও ভাবিনি।
সম্প্রতি কোচবিহারের বাণেশ্বরের বাসিন্দা শিক্ষক দম্পতি ও তাঁদের দুই শিশুপুত্র-কন্যার দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল। সেটিও ছিল গ্রামীণ এলাকার রাস্তা। সেক্ষেত্রেও গাড়ি জলে পড়ে গিয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বছরের প্রথম দিন পিকনিকে যাওয়ার পথে ঘটল বাস দুর্ঘটনা। কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।