সংবাদদাতা, মেখলিগঞ্জ: বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে নিত্যদিন যাতায়াত করতে হয় মেখলিগঞ্জ ব্লকের উছলপুকুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসপাড়া সহ আশপাশের কয়েকটি জনপদের বাসিন্দাদের। এবার সেই সমস্যা মিটতে চলেছে। গ্রামে পাকা সেতু তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু দাসপাড়া এলাকাতেই নয়, শিলখাগড়ি এলাকার জলসুয়া নদীর উপরেও পাকা সেতু নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে সেখানে পাকা সেতু থাকলেও সেটি যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে আছে। উছলপুকুরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জোড়া সেতু নির্মাণের অনুমোদন মেলায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
জামালদহ বাজারের কাছে দাসপাড়ায় বহু বাসিন্দার বাস। জামালদহ বাজারে পৌঁছতে গেলে ওই এলাকার বাসিন্দাদের একটি বড় নালা পেরতে হয়। ওই নালাটি সুটুঙ্গা নদীতে গিয়ে মিশেছে। প্রায় ৪০ মিটার চওড়া ওই নালার উপরে কোনও পাকা সেতু নেই। বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে কয়েক হাজার বাসিন্দাকে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষায় জলস্তর বেড়ে গেলে সাঁকো ভেসে যায়। সেসময়ে প্রায় পাঁচ কিমি ঘুরপথে বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয়। অবশেষে ওই এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ ঘোচাতে উদ্যোগী হয়েছে পঞ্চায়েত প্রশাসন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের বরাদ্দকৃত অর্থে পাকা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এলাকার কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য কেশবচন্দ্র বর্মন বলেন, দাসপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে সেতু নির্মাণের দাবি ছিল। অবশেষে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ দূর হতে চলেছে। খুব শীঘ্রই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের হাত দিয়ে সেতুর কাজের শিলান্যাস করা হবে।
অপরদিকে, একই গ্রাম পঞ্চায়েতে শিলখাগড়িতে জলসুয়া নদীর উপর আর একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হবে। সেটিও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের টাকায় তৈরি হবে। উল্লেখ্য, শিলখাগড়িতে পুরনো পাকা সেতুটি বসে গিয়ে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই ঘটনায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। সম্প্রতি শিলখাগড়ির জলসুয়া নদীর উপর নির্মিত পাকা সেতুটির মাঝের অংশ অনেকটাই বসে গিয়েছে। স্বল্প দৈর্ঘ্যের ওই সেতুটি এভাবে বসে যাওয়ায় এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছোট যানবাহন। প্রশাসনের তরফে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও, অনেকেই তা মানছেন না। এই পরিস্থিতিতে নতুন সেতু নির্মাণের খবরে খুশি সেখানকার বাসিন্দারা।