• বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট বাংলায়, মানুষের স্বার্থে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার তৃণমূলের
    বর্তমান | ০২ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রেখে সাধারণ মানুষের স্বার্থে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করল তৃণমূল কংগ্রেস। ইংরেজি নতুন বছরে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে তৃণমূলের সকল নেতা-কর্মী শপথ নিয়েছেন, মানুষের সেবায় বছরভর নিয়োজিত থাকবেন। লড়াই চলবে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে। 

    বুধবার নতুন বছরের শুভ সূচনার সঙ্গে তৃণমূল পা রেখেছে ২৮ বছরে। নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে উপলক্ষ্যে বৃহত্তর তৃণমূল পরিবারের সকলকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন তিনি। ইংরেজি বছর ও দলের প্রতিষ্ঠা দিবস নিয়ে দুটি গান তৈরি করেছেন মমতা—কথা ও সুর তাঁরই। গেয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন। তাৎপর্যপূর্ণ হল, তৃণমূলের কাছে এবছরটি সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৬ সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। ফলে তার আগে চলতি বছরে সংগঠনের ফাঁকফোকর ভরাট করে নেওয়ার উপর তৃণমূল বেশি জোর দিতে চলেছে। যেখানে জোড়াফুল শিবিরের মূল লক্ষ্য, বুথস্তর পর্যন্ত সংগঠনকে শক্তিশালী করা। সাধারণ মানুষের যে সমর্থন ও আস্থা তৃণমূল পেয়ে এসেছে, তা আগামী দিনেও অটুট থাকবে বলে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই প্রতিষ্ঠা দিবসে নেত্রীর বার্তা, সমাজসেবাই হল মূল। রাজনীতি ক্ষমতার বিষয় নয়, রাজনীতি হল জনগণের জন্য লড়াই এবং সেবা করার জন্য। 

    কোনও শক্তির কাছে মাথা নত না করে জনগণের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য তথা দেশব্যাপী উন্নয়নের স্বার্থে মা-মাটি-মানুষ সর্বদা নিয়োজিত। তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের সকল কর্মীদের আত্মত্যাগ এবং নিরলস প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ। তাঁরাই আমাদের মেরুদণ্ড। এই নতুন বছরে নব উদ্যমে আগামীর লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হন সকলে। সকল ক্লেদ, বিষাদ, গ্লানি মুছে যাক সুখের পরশে, এটাই প্রার্থনা।

    এদিন তৃণমূল ভবনে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। মমতার সংগ্রাম ও তৃণমূল দল তৈরির ইতিহাস তুলে ধরেন তিনি। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষরা দিনভর কর্মসূচিতে ছিলেন। সকলেই একসুরে জানিয়েছেন, বাংলার উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে এবং অনাচার রুখবই। মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে চলবে তৃণমূলের লড়াই। 
  • Link to this news (বর্তমান)