• ঠাকুর দেখার মতো লম্বা লাইন! ভিড়ের নিরিখে বড়দিনকে টপকাল ১ জানুয়ারি
    বর্তমান | ০২ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ‘আর কতক্ষণ?’ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে তরুণী প্রশ্ন করলেন বন্ধুকে। তাজমহলের সামনে তখন দীর্ঘ লাইন। সেখানেই তাঁরা দাঁড়িয়ে। ধীরে এগচ্ছে লাইন। স্মার্টফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরা অন করে একবার ঠোঁটের লিপস্টিক ঠিকঠাক আছে কি না দেখে নিলেন তরুণী। ঢুকে সেল্ফি নিতে হবে তো। তাজমহল শুধু নয়। মিশরের পিরামিড থেকে চীনের প্রাচীর, সব জায়গায় একই চিত্র। দেখে মনে হবে, যেন দুর্গাপুজোর অষ্টমী, ঠাকুর দেখার লাইনে দাঁড়িয়ে দর্শনার্থীরা, এত ভিড়। বড়দিন ও ৩১ ডিসেম্বরের ভিড়কে টপকে গেল পয়লা জানুয়ারি। বুধবার, ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন নিউটাউনের ইকোপার্কে হাজির প্রায় ৯২ হাজার মানুষ।

    ইকোপার্ক এখন বেড়ানোর অন্যতম ঠিকানা। প্রতি বছর ২৫ এবং ৩১ ডিসেম্বর ও এক জানুয়ারি হাজার হাজার মানুষ আসেন এখানে। ইকোপার্কের বিশেষ আকর্ষণ হল সেভেন ওয়ান্ডার্স বা পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের রেপ্লিকা। এবার নতুন সংযোজন হয়েছে সোলার ডোম। হিডকো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে ইকোপার্কে উপস্থিত ছিলেন ৫৭ হাজার ৬০৩ জন। বছরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর এসেছিলেন ৩১ হাজার ৬৯৮ জন। বুধবার, পয়লা জানুয়ারি এসেছিলেন ৯১ হাজার ৬৮৩ জন। অর্থাৎ বড়দিনের তুলনায় ৩৪ হাজার ৮০ এবং ৩১ ডিসেম্বরের তুলনায় ৫৯ হাজার ৯৮৫ জন বেশি মানুষ এসেছিলেন।

    বুধবার গেট খোলার পরই ভিড়ের সূচনা। টিকিট কাউন্টার থেকে লাইন শুরু। দুপুরের আগে ভিড় ছাপিয়ে গিয়ে জনস্রোত। সপ্তম আশ্চর্যের কাছে সবথেকে বেশি ভিড়। সকলের মনোভাব, সময় লাগলে লাগুক, কিন্তু সপ্তম আশ্চর্য না দেখে যাওয়া যাবে না। ফলে সকলেই দাঁড়িয়ে দীর্ঘ লাইনে। ইকোপার্ক মানে বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠ। সেখানে বসেও বহু মানুষ সময় কাটিয়েছেন। দৌড়ে বেড়িয়েছে শিশুরা। বেড়ানোর আনন্দের সঙ্গে বাদ যায়নি পেটপুজো। জমিয়ে খাওয়াদাওয়া করেই বাড়ি ফিরেছেন সকলে। কেউ কেউ ইকোপার্ক ঘুরে তারপর গিয়েছিলেন নিউটাউনের মেলা গ্রাউন্ডে, সরস মেলায়। পছন্দের জিনিসপত্র কিনে ফিরেছেন বাড়ি।

    ছবি: কুমার বসু
  • Link to this news (বর্তমান)