• নববর্ষে জনস্রোত শ্যামনগরের ব্রহ্মময়ী মন্দিরে, কালীকে মুলো উৎসর্গের রীতি, বারাকপুরের চার্চ ও নৈহাটি বড়মা মন্দিরেও উপচে পড়ল ভিড়
    বর্তমান | ০২ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: ২১২ বছর বয়স হল শ্যামনগরের মূলাজোর ব্রহ্মময়ী কালীমন্দিরের। পৌষ মাসে মুলো দিয়ে বিশেষ পুজো দেওয়ার রীতি এই মন্দিরে। ইংরাজি বছরের প্রথম দিনে পুজো দিতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে। বুধবার ভোর থেকেই লম্বা লাইন। সকলের হাতে মুলো। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে তবে পুজোর সুযোগ পেয়েছে সবাই। 

    এদিন এখানে কালীর বিশেষ পুজোও হয়। দেবীকে দেওয়া হয় কাতলা মাছ, অন্ন ভোগ, পাঁচ রকমের ভাজা, সব্জি, চাটনি ও মিষ্টি। সেই সঙ্গে হয় পৌষ কালী মেলা। প্রধান পুরোহিত নিমাই চট্টোপাধ্যায় জানান, ২১২ বছর ধরেই পৌষ কালীপুজো হয়। সকলে মুলো দেন। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তা চলবে। পয়লা জানুয়ারি দু’লক্ষেরও বেশি মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। ভোগ বিতরণ হয়েছে। এদিন নৈহাটির বড়মার মন্দিরেও প্রবল ভিড় হয়েছিল। দুপুর পর্যন্ত বন্ধ করা সম্ভব হয়নি মন্দির। ভোর চারটে থেকে লাইন দেওয়া শুরু হয়েছিল। লাইন পৌঁছে যায় নৈহাটি পুরসভা পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, ভিড় সামলাতে হিমশিম খেয়েছে পুলিস। সকাল সাড়ে ছ’টায় খুলেছিল মন্দিরের দরজা। দিনভর তা খোলা ছিল। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা ঠাকুর দর্শন করে ও পুজো দেয়। মন্দির ট্রাস্টি কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য জানান, ভিড় সামাল দেওয়া নিয়ে আমাদের চিন্তা বাড়ছে। ইংরেজি নববর্ষের দিন কয়েক লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়েছে।

    এদিন ভিড় হয়েছিল বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার কয়েকটি চার্চেও। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই উৎসবের চেহারা ছিল বারাকপুর শিল্পাঞ্চল। এদিন রাত বারোটা নাগাদ চিড়িয়ামোড়ে হয় আতশবাজির প্রদর্শনী। উপস্থিত ছিলেন বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস। তিনি বলেন, বারাকপুর উৎসব কমিটি প্রতিবছর আতশবাজির প্রদর্শন করে। দেখতে বহু মানুষের ভিড় জমে। 
  • Link to this news (বর্তমান)