কবে কোথায় ক্যাম্প?
ডায়মন্ড হারবারের পরে ফলতা বিধানসভা ক্যাম্প হবে ১২ জানুয়ারি-২১ জানুয়ারি। বিষ্ণুপুর বিধানসভা এলাকায় ২২ জানুয়ারি-৩১ জানুয়ারি ৪৭টি ক্যাম্প হবে। মেটিয়াবুরুজ বিধানসভায় ১ ফেব্রুয়ারি-১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৬টি ক্যাম্প হবে। সাতগাছিয়া বিধানসভায় ১২ ফেব্রুয়ারি- ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৫টি ক্যাম্প হবে। বজবজ বিধানসভায় ২২ ফেব্রুয়ারি-৩ মার্চ পর্যন্ত ৪২টি ক্যাম্প হবে। মহেশতলা বিধানসভা এলাকায় ৪ মার্চ -১৩ মার্চ পর্যন্ত ৪৫টি শিবির হবে। এরপরে ১৬ মার্চ-২০ মার্চ মেগা ক্যাম্প আয়োজিত হবে। সব ক্যাম্পের ফলোআপ হিসেবে ওই ৫ দিন ৩০০টি জায়গায় একসঙ্গে একভাবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ফলোআপ ক্যাম্প হবে।
সব বিধানসভা এলাকাতেই ১টি করে মডেল ক্যাম্প ও বাকিগুলি সাধারণ ক্যাম্প আয়োজিত হবে। সাধারণ ক্যাম্পে রোগীদের জন্য একটি করে রেজিস্ট্রেশন ডেস্ক ও হেল্প ডেস্ক থাকবে। ২টি করে ডাক্তারের চেম্বার, ডাক্তারের বিশ্রামের ঘর, রোগীদের ওয়েটিং এরিয়া থাকবে। চিকিৎসার জায়গা। বিনামূল্যে ওষুধের ফার্মেসি থাকবে। স্ট্রেচার, হুইলচেয়ার-সব থাকবে। স্বেচ্ছাসেবক, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে সবাই থাকবেন। মডেল ক্যাম্পে ২টি সিসিইউ শয্যা, ক্যান্সার স্ক্রিনিং, ইউসিজি থেকে শুরু করে আরও একাধিক উন্নত চিকিৎসার সুবিধা থাকছে। ৩ জন করে ডাক্তারের চেম্বার থাকছে।
কী কী পরিষেবা?
বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে। রোগীদের টোকেন আইডি দেওয়া হবে। সচেতনতা পুস্তিকা দেওয়া হবে রেজিস্ট্রেশনের পরে। সেখানেই রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, ক্যান্সার, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, স্ট্রোক বা কিডনির সমস্যার জন্য কী কী করা উচিত সেই সংক্রান্ত উপদেশ থাকবে। প্রেসক্রিপশন লেখার জায়গা থাকবে।
কী কী টেস্ট?
BMI, রক্তচাপ, সুগার. হিমোগ্লোবিন, ম্যালেরিয়া, ইসিজি, ট্রিপল সেরোলজি, HIV, হেপাটাইটিস পরীক্ষা। নেবুলাইজ়ার, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, পালস অক্সিমিটার থেকে শুরু করে আরও নানা সুবিধা থাকছে।
এই স্বাস্থ্য শিবিরের জন্য একটি রেফারেল সিস্টেম তৈরি হয়েছে। প্রয়োজনে ক্যাম্প থেকে ১২টি হাসপাতালে রেফার করা হবে। একটি টিম থাকবে ফলোআপের জন্য। ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম, বাঙ্গুর নিউরো, এম আর বাঙ্গুর,
বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল, ক্যালকাটা মেডিক্যাল, চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল, আরজিকর মেডিক্যাল, কলকাতার নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট-সহ মোট ১২টি হাসপাতালে প্রয়োজনে রেফার করা হবে।
প্রতিটি জায়গায় স্ট্যান্ডবাই অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে। প্রতিটি শিবির শুরু হওয়ার আগে ও পরে স্যানিটাইজ় করা হবে। প্রতিদিন চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন তিনি বলেন, ‘অনেকেই ভাবেন এত বড় কর্মযজ্ঞ হবে কী ভাবে। আগে শুরু করতে হবে। আমরা চেষ্টা করেছি। মানুষের ভালোবাসায় আমরা এই কর্মসূচি শুরু করলাম। আমার আশা সারা ভারতকে পথ দেখাবে এই কর্মসূচি। প্রতিটি বিধানসভায় ক্যাম্প হওয়ার সময় সেখানে যাবেন বলেও এ দিন জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’ এরই সঙ্গে তাঁর বার্তা, ‘যাঁরা আমাকে ভোট দিয়েছেন আমি তাঁদেরও সাংসদ, যাঁরা দেননি তাঁদেরও সাংসদ...আজকের এই আয়োজন সবার। সকলে আসুন।’