অভিযোগ, বারাণসীর মতো গঙ্গা ভ্রমণ এবং এই নদীকে ঘিরে আলাদা পর্যটনের ব্যবস্থা বা প্যাকেজ ট্যুর নেই। এ বার সেই পরিকল্পনা করেছে পরিবহণ এবং পর্যটন দপ্তর। এই ট্যুরের পরিকল্পনা মূলত গঙ্গাকে ঘিরেই। থাকছে একাধিক প্যাকেজ।
শহরে গঙ্গার যে ঘাটগুলি রয়েছে, তার বেশিরভাগেরই কোনও না কোনও ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই ঘাটগুলির অবস্থা তেমন ভালো নয়। সম্প্রতি একটি স্বেচ্ছেসেবী সংগঠন গত কয়েক বছর ধরে কলকাতায় শুরু করেছে নদী উৎসব। মূলত গঙ্গাকে ঘিরেই তাদের নানা পরিকল্পনা। নদীর ঐতিহাসিক ঘাটগুলির রক্ষণাবেক্ষণ যাতে ঠিকমতো হয়, সেই জন্য ঘাটগুলিকে দত্তক দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা দত্তক নেবেন, ঘাট রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে ঘাটের সৌন্দর্যায়নও তাঁরা করবেন। পুরো বিষয়টির দেখভাল করবে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
সম্প্রতি এই সংস্থার নদী উৎসবে সামিল হয়েছিলেন শহরের নামজাদা পাঁচ তারা হোটেল, বহুজাতিক ভ্রমণ সংস্থার কর্মকর্তা থেকে শুরু করে পরিবহণ এবং পর্যটন দপ্তরের আমলারাও। সেখানেই গঙ্গাকে ঘিরে রিভার ট্যুরিজ়ম বা নদী পর্যটনের পরিকল্পনার কথা উঠে আসে। দুই দপ্তরের আমলারা জানান বাগবাজার ঘাট, বাবুঘাট, জগন্নাথ ঘাট, আর্মেনিয়ান ঘাট, আউট্রাম ঘাট-সহ প্রায় সব ঘাটেই রয়েছে কোনও না কোনও ঐতিহাসিক সৌধ। মূলত নদীপথেই হবে এই প্যাকেজ ট্যুর। সঙ্গে থাকবেন গাইড।
পর্যটকদের বিভিন্ন ঘাটে নামিয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি ঘুরিয়ে দেখানো হবে। যেমন আহিরীটোলা ঘাটে নেমে পর্যটকেরা দেখতে পারবেন কুমোরটুলি। কাছাকাছি রয়েছে শোভাবাজার রাজবাড়ি এবং পুতুলবাড়ি। আর্মেনিয়ান ঘাটে নেমে ফোর্ট উইলিয়াম দেখা যাবে। এর বাইরে বেলুড় মঠ, দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িও ঘুরে দেখানো হবে। সঙ্গে নদীপথে ভ্রমণের মজা তো রয়েইছে।
এ ছাড়াও ব্যারাকপুরের ঐতিহাসিক স্থান, খড়দহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি, হাওড়ার বটানিক্যাল গার্ডেন-সহ একাধিক জায়গা ঘুরিয়ে দেখানোরও প্যাকেজ থাকবে। পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা জানান, মূলত সার্কিট ট্যুরের আদলেই প্যাকেজগুলি সাজানো হবে। একাধিক প্যাকেজ থেকে ইচ্ছুকেরা পছন্দমতো বেছে নিতে পারবেন। বিদেশীদের জন্য থাকবে বিশেষ প্যাকেজ।