আরাবুলের বক্তব্য, বুধবার তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ভাঙড়ের বাঁওতা-২ অঞ্চলের ওয়াড়ি গ্রামে দলীয় পতাকা উত্তোলন করে ফিরছিলেন। গাড়িতে ওঠার সময় তাঁর উপর হামলা করা হয়। আরাবুল তাঁর অভিযোগ পত্রে লেখেন, ‘শওকত মোল্লার নির্দেশে বেশ কিছু দুষ্কৃতী আমাকে প্রাণে মারার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। গাড়িতে ইট ছোড়ে, গাড়ি ভাঙচুর করে। আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।’
বুধবার রাতেই ছেলে হাকিমুল ইসলামকে নিয়ে থানায় যান আরাবুল। শুধু শওকতই নয়, অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান শেখ সাবির আলি, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মোমিনুল ইসলামেরও।
যদিও সংবাদমাধ্যমে শওকত মোল্লা জানিয়েছেন, এটা একটা পরিকল্পিত ঘটনা বলেই তাঁর মনে হয়। শওকতের কথায়, ‘ড্রামা ছাড়া আর কিছু না। পরিকল্পনা করে ভাঙড়কে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। দলে কোনও জায়গা নেই, পদে নেই। তাঁর সম্পর্কে কোনও কথাই বলব না। একুশ সালে দলটাকে যারা বিরোধীদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তাদের গুরুত্বই দেবো না। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে তো আরাবুল, আরাবুলের ছেলে ছাড়াই প্রচুর ভোটে ভাঙড়ে তৃণমূল জিতেছে। তার পর ভাঙড় শান্তিপূর্ণই ছিল। নতুন করে অশান্ত করছে। দিদিকে এবং আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টা জানাব।’