রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয় নতুন বছরে নতুন সময় সূচি মেনেই চলবে ট্রেন। কিন্তু আজ সেই বিক্ষোভের চিত্র গেল একেবারেই বদলে। বৃহস্পতিবার ৩৭৩৫৩ আপ তারকেশ্বর লোকাল ৫.১৭-তে হাওড়া ছেড়ে সিঙ্গুর ঢোকার কথা ছিল ৬.৩৩ মিনিটে। আজ কিছুটা দেরিতে সিঙ্গুরে ঢোকে ৭.১২ মিনিটে। তারপর তারকেশ্বরের উদ্যেশ্যে রওনা দেয়। সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল সিঙ্গুর থেকেই ছাড়তে হবে এই দাবিতে আন্দোলনকারীদের আজ আর দেখা মেলেনি সিঙ্গুর স্টেশন চত্বরে।
বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলায় বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। আরপিএফ, জিআরপি ছিল রাজ্য পুলিসও। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের দেখা নেই। সিঙ্গুরের যাত্রী যারা সকালের ট্রেনে যাত্রা করেন তারা চাইছেন সিঙ্গুর থেকেই ট্রেন ছাড়ুক। বুধবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সিঙ্গুর স্টেশনের ১ নং প্ল্যাটফর্মে ট্রেনটি ঢোকে। ঢোকা মাত্রই ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন মন্ত্রী-সহ বাকিরা। চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচী। ঘটনাস্থলে রেলপুলিস ও হুগলি জেলা গ্ৰামীন পুলিস।
মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, 'সিঙ্গুর আন্দোলন লোকালকে তোলা যাবে না। সিঙ্গুরের মানুষের আবেগকে কখনই আঘাত করা যাবে না। রেল কর্তৃপক্ষ গত পরশু নোটিফিকেশন জারি করে, এই ট্রেনটিকে তুলে দিচ্ছে। সেইজন্যই আমরা প্রতিবাদ আন্দোলন করছি। এবং আমাদের দাবি এই ট্রেন যেমন ছিল, সেইরকমই বহাল রাখতে হবে। যতক্ষণ না রেল এই সিদ্ধান্তকে বাতিল করছে, ততক্ষণ আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।'
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৯ সালে সিঙ্গুর লোকাল চালু করেছিলেন। সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনের সময় লড়াই করা কৃষকদের সম্মান জানিয়ে লোকাল ট্রেনের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘আন্দোলন লোকাল’।