• মালদায় শুটআউট, তৃণমূল নেতাকে মাথায় গুলি করে ‘খুন’, পুলিশকে তোপ মমতার
    এই সময় | ০২ জানুয়ারি ২০২৫
  • তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে ইংরেজবাজারে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি মাথায় লেগে মৃত্যু হলো জেলা তৃণমূলের নেতা ও কাউন্সিলার দুলাল সরকার (৬২) ওরফে বাবলার। তিনি ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলার ছিলেন।

    এ দিন সকালে ইংরেজবাজারে রাস্তায় মোটর বাইক থামিয়ে একেবারে ফিল্মি কায়দায় এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়া হয় বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। একটি গুলি তাঁর মাথায় লাগে বলে তাঁর অনুগামীরা জানিয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতাল এ বিষয়ে কিছু না বললেও নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তৃণমূল নেতাকে ‘খুন’ করা হয়েছে। পরে তিনি এ বিষয়ে নিজের X হ্যান্ডলে পোস্টও করেন তিনি। এই ঘটনায় থমথমে ইংরেজবাজার এলাকা।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ঝলঝলিয়ার মাতাল মোড় এলাকায় দাঁড়়িয়ে ছিলেন দুলাল সরকার। সেই সময়ে একটি মোটর বাইকে হেলমেট পরা তিন দুষ্কৃতী সে তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি ছোড়ে। প্রথম দুটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও তৃতীয় গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পুলিশি গাফিলতিতে তৃণমূল নেতা খুন হয়েছেন।’ তিনি জানিয়েছেন মালদায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাবিনা ইয়াসমিন যাচ্ছেন। পরে তিনি ফের ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘সিকিউরিটি তুলে নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সুপারের অপদার্থতার জন্যই এটা হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম দুলাল সরকারকে।’

    তৃণমূল কর্মী মহেন্দ্র আগরওয়ালা বলেন, 'সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পার্টি অফিস গিয়েছিলেন। সেখান থেকে রোজই নিজের ফ্যাক্টরিতে যান। এ দিনও তাই করেছিলেন। সেখানে গাড়ি থেকে নামতেই পেছন দিক থেকে গুলি চলে। কেন বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে,বুঝতে পারছি না। ওঁর জ্ঞানও নেই।'

    দুলাল স্থানীয় এলাকায় বাবলা বলেই পরিচিত। তাঁর গুলিবিদ্ধের খবরে হাসপাতালে ভিড় বাড়তে শুরু করে। হাসপাতালে আসেন তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তিনি বলেন, 'হাসপাতালে মৃত অবস্থাতেই তৃণমূল নেতাকে আনা হয়েছিল। রাজনৈতিক শত্রু ওঁর ছিল না। একদম রৈইকি করে খুন করা হয়েছে।'

    এ দিন ঘটনার পরেই হাসপাতালে যান জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া এবং পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। ইংরেজবাজার পুরসভার ছয় প্রায় ৩০ বছর ধরে কাউন্সিলার পদে ছিলেন তিনি। এছাড়াও পাঁচ বার পুরো নির্বাচনে তিনি সংশ্লিষ্ট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। জেলার তৃণমূলের সভাপতিও ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্বে ছিলেন।

  • Link to this news (এই সময়)