গত ২৫ নভেম্বর চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ইউনূস-সরকারের পুলিশ। ২৬ নভেম্বর তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। এক মাসের বেশি সময় ধরে জেলবন্দি তিনি। রাষ্ট্রদ্রোহিতা-সহ একাধিক মামলায় জেলবন্দি তিনি। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালতে তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল।
চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ অসুস্থ হয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। এই পরিস্থিতিতে অপূর্ব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১০ জন আইনজীবীর দল চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন এ দিন। জামিনের বিরোধিতা করেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষের আইনজীবী। বিচারক জানান, দেশদ্রোহিতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কাবাস হতে পারে। তাই জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।
যাবজ্জীবনের প্রসঙ্গ নিয়ে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার সমালোচনা করেন কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস। তিনি বলেন, ‘যাবজ্জীবন হলে তো খুবই শকিং। আর কিছু বলার থাকবে না। বাংলাদেশে আদালত আছে কী নেই, তা নিয়ে আমার মনে সংশয় তৈরি হবে। এটা যা হচ্ছে, তাতে তো অন্য দিশাতে চলে যাচ্ছে। একটা শুনানিতেই এত বড় শাস্তি হয় কখনও?’