মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পররাষ্ট্র সংক্রান্ত বিষয়ে বারবারই কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্তকেই সমর্থন করার কথা বলে এসেছে তৃণমূল সরকার। কিন্তু সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এ রাজ্যকে সমস্যায় ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যদি দেখি আমার রাজ্যকে বিরক্ত করার জন্য কেউ মদত দিচ্ছে তখন প্রতিবাদ তো করতেই হবে।’
এ দিন জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের ভূমিকা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘বিএসএফ ইসলামপুর, চোপড়া, সিতাই দিয়ে লোক ঢোকাচ্ছে। আমাদের কাছে খবর আছে। আরও অনেক জায়গা দিয়ে লোক ঢোকাচ্ছে। বিএসএফ অনুপ্রবেশকারী ঢোকাচ্ছে, আপনারা প্রতিবাদ করছেন না।’ মমতা বলেন, সীমান্ত পাহারা বিএসএফ দেয়, তৃণমূল দেয় না। তাই এ নিয়ে তিনি কেন্দ্রকে বড় চিঠি দিচ্ছেন বলেও জানান।
রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, কোন, কোন জায়গায় লোক ঢুকেছে তার রিপোর্ট দিতে। এরপরই মুখ্যসচিবের কাছে তিনি জানতে চান, জেলাশাসক-এসপিরা এ নিয়ে তাঁকে কোনও তথ্য দিয়েছেন কি না। সদর্থক উত্তর না পেয়ে রাজীব কুমারের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা , ‘বাংলায় অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়ে কেউ যদি মনে করে তৃণমূলকে বদনাম করবে, তা বরদাস্ত করা হবে না।’