বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চুঁচুড়ার জ্যোতিষচন্দ্র স্কুল, গরবাটি স্কুল ও অনুকূল চন্দ্র স্কুল-সহ একাধিক স্কুল পরিদর্শন করেন সাংসদ। গরবাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের মাধ্যমিকের আগে পড়াশোনায় মন দেওয়ার পরামর্শ দেন। ছোটদের ক্লাসে গিয়েও খুনসুটি করতে দেখা যায় সাংসদকে। স্কুল থেকে সাংসদ বের হতেই ঘিরে ধরেন পড়ুয়ারা। খাতা পেন এগিয়ে দেন তারা। অটোগ্রাফের আবদার মেটান ‘দিদি নম্বর ওয়ান’।
রচনা বলেন, ‘ভালো লাগে কেউ অটোগ্রাফ নিতে চাইলে। এখন তো ফটোগ্রাফ-সেলফির দিন চলে এসেছে। মানুষ যে এখনও অটোগ্রাফ চায়, সেটাই সব থেকে আনন্দ লাগে।’ পড়ুয়াদের উদ্দেশে রচনা বলেন, ‘জীবনে অনেক বড় হতে হবে, তাই পড়াশোনায় ভালো হতে হবে সবাইকে। নতুন বছর সকলের ভালো কাটুক। সব সময় মনে রাখবে বাবা-মা তোমাদের জন্য অনেক কষ্ট করছেন, তোমাদের পড়াশোনা শেখাতে চাইছেন। জীবনে যা করবে,বাবা-মার কথা ভেবে করবে।’
পরিদর্শনের সময়েই জ্যোতিষচন্দ্র স্কুলের মিড ডে মিল রান্নাঘরেও ঢুকে যান রচনা। পড়ুয়াদের জন্য ভাত, ডাল আর ফুলকপি-আলুর তরকারি রান্না হচ্ছিল। হাতে প্লেট নিয়ে সেই রান্না খেতে শুরু করে দেন রচনা। সাংসদ বলেন, ‘তেল-মশলা ছাড়া এত ভালো রান্না আগে কোনওদিনও খাইনি। ডাল পছন্দ করি না, তাই ফুলকপি দিয়ে ভাত খেলাম।’ রাঁধুনিদের দশে দশ নম্বরও দেন রচনা।
মিড ডি মিলের রাঁধুনি ফুলকলি পাল বলেন, ‘উনি আসবেন জানতাম না। নিজে থেকেই আমাদের রান্না করা খাবার টেস্ট করে দেখলেন। রান্নার প্রশংসাও করলেন। ভালো লাগল।’ নিজের সংসদ এলাকার স্কুলে রাঁধুনিদের আয়োজন দেখেও খুশি রচনাও। সাংসদের কথায়, ‘এই প্রথম এখানে এসেছি। এলাম, দেখলাম, খেলাম। মিড ডে মিল যাঁরা রান্না করেন তাঁরা খুব সুন্দর ওখাবার তৈরি করেন। খুব ফ্রেশ, পুষ্টিকর খাবার বাচ্চাদের জন্য স্কুলের দিদিরা করে দিচ্ছেন। রান্নাঘর পরিষ্কার। এরকম ব্যবস্থা দেখে ভালো লাগল।’