এ দিন সকাল থেকে গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ পিকনিক করতে আসেন। গড়চুমুকের মিনি জ়ু–তে প্রায় ৬ হাজার মানুষ এসেছিলেন। গড়চুমুক চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত তথা বন দপ্তরের হাওড়া বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় আধিকারিক কমল সাহা বলেন, ‘এ দিন বহু মানুষ এলাকায় পিকনিক করতে এসেছিলেন। তবে ডিজে নিষিদ্ধ ছিল। ডিজে নিয়ে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারস্বরে মাইক বাজানোও বারণ ছিল। সুষ্ঠু ভাবেই সবাই পিকনিক করেছে।’
হুগলির গুড়াপ থেকে ষাটোর্ধ্ব চন্দ্রনাথ তালুকদার পরিবারের লোকজনদের নিয়ে পিকনিক করতে এসে বলেন, ‘নদী, চিড়িয়াখানা, ৫৮টি স্লুইস গেট রয়েছে। সব একসঙ্গে দেখলাম ও আনন্দ করলাম। বেশি ভালো লেগেছে ডিজে না বাজায়। আগে একবার এসেছিলাম তখন ডিজের দাপটে অস্থির হয়ে উঠেছিলাম। এ বার এসে মনে হলো পরিবার নিয়ে এখানে পিকনিক করার আদর্শ জায়গা।’
মিনি জ়ু–তে ভিড় হওয়ায় খুশি কর্তৃপক্ষ। দর্শকদের এত ভিড় হয়েছিল যে আধিকারিকদের সেখানে দীর্ঘক্ষণ থাকতে হয়। বন দপ্তরের হাওড়া বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় আধিকারিক কমল সাহা ও চিড়িয়াখানার রেঞ্জ অফিসার তাপস দেব দীর্ঘসময় উপস্থিত ছিলেন। দর্শকদের ভিড় জমেছিল নতুন অতিথি ইগুয়ানার খাঁচার সামনে। হরিণ, বাঘরোল, নীলগাই, ময়ূর, ম্যাকাও দেখার সঙ্গে চাদর পেতে চলে খাওয়াদাওয়া।
এ দিন সন্ধ্যায় গড়চুমুক পার্কের রাস্তায় বেশ যানজট হয়। ওই যানজট সামলাতে পুলিশ ও সিভ্কি ভলেন্টিয়ারদের হিমশিম খেতে হয়। শ্যামপুরের শিবগঞ্জেও যথেষ্ট ভিড় হয়। শ্যামপুর ১–এর পঞ্চায়েত সমিতির কৃষ্ণেন্দু পুরকাইত ও ডিঙাখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শান্তিরঞ্জন মাইতি নদীর পাশে নজরদারি চালান। কৃষ্ণেন্দু বলেন, ‘হুগলি নদীর পাশে অনেক লোক বনভোজন করতে এসেছিলেন। তাই কেউ যাতে নদীতে না নামেন, তার জন্য বুধবার নদীর ধারে নজরদারি চালানো হয়।’
দামোদরের তীরে উলুবেড়িয়া থানার মহিষরেখা, প্রসাদপুরের বিভিন্ন জায়গাতেও শয়ে শয়ে লোকজন পিকনিক করতে এসেছিলেন। ওই এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য দুলাল কর বলেন, ‘পর্যটকদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য অতিরিক্ত বায়ো টয়লেট, জঞ্জাল ফেলার ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেড়ানোর মরশুম পর্যন্ত তা থাকবে।’