শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের স্মৃতিবিজড়িত গোঘাটের অন্যতন তীর্থক্ষেত্র হলো কামারপুকুর মঠ। এ দিন সকাল থেকে মঙ্গল আরতি, ভজন, বৈদিক মন্ত্র পাঠ শুরু হয়। দুপুরে প্রসাদ বিতরণ হয়। সন্ধ্যায় আরতি হয়েছে। কামারপুকুর মঠ কর্তৃপক্ষ জানান, প্রায় আট হাজার ভক্ত এ দিন প্রসাদ নিয়েছেন। গোটা এলাকা নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল।
কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী লোকত্তরানন্দ মহারাজ বলেন, ‘কামারপুকুর মঠ ও মিশনে প্রতিবছর যে ভাবে কল্পতরু উৎসব পালন করা হয় সে ভাবেই এ বছর পালন করা হয়েছে। শ্রীরামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন, তোমাদের চৈতন্য হোক। সেই মুহূর্তটি কল্পতরু নামে পরিচিত। সেই সময়ে যে যা প্রার্থনা করেছিলেন, ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ, সবই ঠাকুর দান করেছিলেন।’
স্বামী সারদানন্দ মহারাজ বলেন, ‘এই দিনটিতে শ্রী রামকৃষ্ণদেব আত্মপ্রকাশে অভয় প্রদান করেছিলেন। নিজেকে সকলের কাছে প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। শুধু এই দিনটি নয়, সারা বছর আমাদের কাছে কল্পতরু হিসেবে তিনি বিরাজমান।’
এই মঠে এসে বৈশাখি রায় নামে এক ভক্ত বলেন, ‘আমি এখানে প্রায়ই আসি। এই দিন যা প্রার্থনা করবে তাঁকে শ্রীরামকৃষ্ণ দেব তাই দেবেন। এখানে এসে শান্তি পাই।’ খোকন মণ্ডল নামে আরও এক পুণ্যার্থী বলেন, ‘সকলে শান্তিতে থাকুক। ভালো থাকুক। পৃথিবী অশান্তিময়। তাই ঠাকুরের কাছে সকলের মঙ্গল কামনা করেছি। মঠে এসে খুব ভালো লাগছে। বছরের প্রথম দিন মঠে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের পুজোপাঠ দেখতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। রামকৃষ্ণদেব আমাদের চলার পথ দেখিয়েছেন।’