• পরপর নিশানায় তৃণমূল নেতারা, সন্দেশখালিতে পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি লক্ষ্য করে চলল গুলি, নেপথ্যে কারা?
    আজকাল | ০২ জানুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মালদার পর সন্দেশখালি। ফের আক্রমণের নিশানায় তৃণমূল নেতা। মুখ্যমন্ত্রীর সভার দু' দিনের মাথায় দুষ্কৃতী হামলায় উত্তপ্ত হল সন্দেশখালি। বৃহস্পতিবার সকালে মালদায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের। সন্দেশখালিতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি লক্ষ্য করে চলল এলোপাথাড়ি গুলি। 

    বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া-আগারহাটি পঞ্চায়েত এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পুলিশ কয়েকটি গুলির খোল উদ্ধার করেছে। তবে,ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। জানা গিয়েছে, গুলি চলার সময় বাড়িতেই ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান যাদবকুমার মণ্ডল। বাড়ির বাইরে না বেরনোয় কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। 

    প্রসঙ্গত, শেখ শাহজাহান পরবর্তী জমি-কাণ্ডের পর নতুন করে আর সেভাবে উত্তপ্ত হয়নি দ্বীপ অঞ্চল সন্দেশখালি। বেশ কয়েক মাস ধরে শান্তই ছিল এলাকা। নতুন বছরের শুরুতে সেই সন্দেশখালিই ফের সরগরম হয়ে উঠল তৃণমূল নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘিরে। তবে,কেন গুলি চলল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রধানই। এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। তবে এর নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে পাল্টা দাবি করে শাসক শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। দাবি,পাল্টা দাবি ঘিরে রাজনীতির পারদ ফের চড়ছে এলাকায়। উল্লেখ্য,বৃহস্পতিবার মালদহেও গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে।সেখানে তৃণমূল কাউন্সিলরের মাথা ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছে গুলি। মৃত্যু হয়েছে তাঁর।তার ঠিক আগে সন্দেশখালির এই ঘটনা যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে এলাকায়।

    তৃণমূল পঞ্চায়েত তৃণমূল প্রধান যাদবকুমার মণ্ডলের বাড়ি সরবেড়িয়া এলাকাতেই। আগে এই পঞ্চায়েতের দায়িত্ব ছিল শাহজাহান ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন মোল্লার কাঁধে। ইডির উপর হামলার ঘটনায় শাহজাহানের সঙ্গে গ্রেপ্তার হতে হয় তাঁকেও। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর জায়গায় সরবেড়িয়া-আগারহাটি পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় যাদবকুমার মণ্ডলকে। সেই পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি লক্ষ্য করেই বুধবার গভীর রাতে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি বাড়ির বাইরে আর পা রাখেননি। এরপর দুষ্কৃতীরা চলে গেলে আত্মীয়-পরিজনেরা যান বাড়িতে। 

    ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'গতকাল রাতে বাইরে কিছু ফাটার আওয়াজ পাই আমি। পাশেই দাদার বাড়ি। আমি তখন ফোন করে দাদাকে বিষয়টি দেখতে বলি।বাইরে কী হচ্ছে সেটা যেন দাদা দেখে। তখন দাদা জানায়, আমার বাইরে কারা দাঁড়িয়ে আছে। পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে বন্দুক বের করে গুলি করছে। তুই এখন বাড়ির বাইরে বেরোস না। কারা,কী কারণে গুলি চালিয়েছে, সেটা বলতে পারব না। আমার সঙ্গে কারোর শত্রুতা নেই। পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছি।বাড়ি থেকে গুলির খোল উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। এই ধরনের ঘটনার সন্মুখীন আগে কখনও হতে হয়নি। তাই,আতঙ্ক হওয়াই স্বাভাবিক।'
  • Link to this news (আজকাল)