নতুন বছরেই TMC-তে সাংগঠনিক রদবদল, ডায়মন্ড হারবার থেকে বড় ঘোষণা অভিষেকের
আজ তক | ০২ জানুয়ারি ২০২৫
করোনার সময় ডায়মন্ড হারবারে একাধিক পরিষেবা চালু করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের করোনা টেস্ট করা, ওষুধ দেওয়া, খাবার দেওয়ার কাজ করেছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। এবার নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য শিবিরের উদ্বোধন করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম দেওয়া হয়েছে সেবাশ্রয়। টানা ৭৫ দিন ধরে চলবে ওই শিবির। ডায়মন্ড হারবারের ৭ টি বিধানসভা এলাকায় চলবে ওই শিবির। ওই শিবিরে যোগ দেবেন ১২০০ চিকিৎসক।
নিজের লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভায় সকলের জন্য বিনামূল্যে এই স্বাস্থ্যশিবির আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। শিবির শুরু হয়েছে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা এলাকা থেকে। তারই উদ্বোধনে বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবার এসডিও মাঠে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবারে ‘সেবাশ্রয়’ মডেল ক্যাম্প উদ্বোধন করে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা এলাকার ১ ও ২ নম্বর ব্লকের কয়েকটি স্বাস্থ্যশিবির সশরীরে ঘুরেও দেখন তিনি। আর এখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের সাংগঠনিক রদবদল নিয়েও কথা বলেন।
অভিষেক বলেন, “সাংগঠনিক রদবদল হবেই। যাঁরা দলের জন্য কাজ করেছেন, তাঁদের চিন্তা করতে হবে না। গাছের পরিচয় তার ফলে। আমি কত দক্ষ, কত অভিজ্ঞ, তা তো ফলাফল দেখলেই বোঝা যাবে।” ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ জানান, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তিনি ইতিমধ্যেই রদবদলের বিষয়ে নির্দিষ্ট প্রস্তাব দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছেন। এই বিষয়ে দলনেত্রীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি। অভিষেক বলেন, “পর পর ভোট এবং উৎসব ছিল। ঠিক সময়েই হবে (সাংগঠনিক রদবদল)।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মমতার উপস্থিতিতেই ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে সাংগঠনিক রদবদলের কথা জানিয়েছিলেন অভিষেক। তিনি জানিয়েছিলেন, লোকসভায় যেখানে যেখানে দলের খারাপ ফল হয়েছে, সেই সমস্ত পুর এলাকায় প্রশাসনিক স্তরে ‘রদবদল’ হবে।
লোকসভা ভোট-পরবর্তী পর্যায়ে নানা ঘটনায় তৃণমূলের মধ্যে নেতৃত্বের সমীকরণের প্রশ্নে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি মুখপাত্র তালিকা প্রকাশের পর যা আরও প্রকট হয়েছিল। দলের মধ্যে যাঁরা ‘অভিষেক-ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত, তাঁদের বাদ পড়া নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছিল শাসকদলের অন্দরে। যদিও অভিষেক, সেই সব জল্পনায় জল ঢালতে চেয়েছেন বৃহস্পতিবার। তাঁর কথায়, “আমার কাজ দলে দলে ঢুকে জোড়াফুল ফোটানো। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী আমার কাছে এলে খবর হয়!” ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের সংযোজন, “আমি পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আমার সঙ্গে রাজ্য সভাপতি বৈঠক করতে পারেন কি পারেন না? আমরতো সহকর্মী, সহযোদ্ধা।”