• 'অর্থ দফতরকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট বানিয়ে দিয়েছে', কেন এমন বললেন মমতা?
    আজ তক | ০২ জানুয়ারি ২০২৫
  • 'অর্থ দফতরকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট বানিয়ে দিয়েছে। দু-একজন ছাড়া বেশিভাগ বামপন্থী রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করে'। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকে এহেন দাবিই করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থসচিব প্রভাত মিশ্রকে তাঁর নির্দেশ, দরকারকে নতুন দক্ষ লোক নিতে হবে।

    এ দিন অর্থ দফতরের কাজ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, অর্থ দফতরের কর্মীরা মিছিল-সমাবেশ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেন না। পুরো অর্থ দফতরকে আলিমুদ্দিন বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মমতার কথায়,'অর্থ দফতরে প্রভাত মিশ্র (অর্থ সচিব) আছেন। উনি ভদ্রলোক। তবে একটু সক্রিয় হতে হবে। তোমার যে টিম আছে, দু-একজন ছাড়া বেশিভাগ বামপন্থী রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করে। ওটা একটা আলিমুদ্দিন স্ট্রিট বানিয়ে দিয়েছে'। 

    মমতার 'সারপ্রাইজ ভিজিট'

    অর্থ দফতরে 'সারপ্রাইজ ভিজিট' করে তিনি নিজে 'কাজে ফাঁকি' দেখে এসেছেন বলেও জানান মমতা। বলেন,'আমি নিজে সারপ্রাইজ ভিজিট করে দেখে এসেছি। আমি নিজে না দেখলে বলতাম না। আমার কাছে খবরও আছে। ফাইলের পর ফাইল জমে। আলোচনা চলছে কীভাবে মিটিং, মিছিল হবে। এটা মিটিং-মিছিল করার জায়গা নয়, জনগণের কাজ করার জায়গা। এটা মাথায় রাখতে হবে'। অর্থ সচিবকে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ,দরকারে নতুন দক্ষ লোক নাও। 

    'বাম আমলে জমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিপূরণ এখন'

    বাম আমলের জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ এখন দিতে হচ্ছে বলেও দাবি করেন মমতা। বলেন,'২০০৬ সালের জমি অধিগ্রহণের টাকা এখন দিতে হচ্ছে। জমি অধিগ্রহণ করে চলে গিয়েছে বামফ্রন্ট সরকার। ২০০৬ সালে যা বাজারদর ছিল, সেটা বেড়ে গিয়েছে ২০২৪ সালে। সব চলে যাচ্ছে কোর্টে। আদালত আর বুঝবে না, টাকা আছে কিনা! আমি ২০০৬ সালের টাকা কেন দেব? একে তো ঋণের বোঝা, ৭৫ হাজার কোটি দিচ্ছে প্রতিবছর। তার উপর জমি কিনে গিয়েছে যত, সেই টাকা আমাদের দিতে হচ্ছে। আমার নীতি হল, যে জমি আমি কিনব, সেই টাকা সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দেব'। 

    সমবায় ব্যাঙ্কে বেনামি অ্যাকাউন্টে কড়া মমতা

    রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে বহু বেনামি অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে দাবি করেন মমতা। সেই সব অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে সরকারি কোষাগারে হিসাব বর্হিভূত টাকা জমা দিতে বলে নির্দেশ দেন। তাঁর কথায়,'অনেক সমবায় ব্যাঙ্কে হিসাব বর্হিভূত অ্যাকাউন্ট আছে। সেখানে অন্যের নামে টাকা রাখা রয়েছে। এই টাকা খতিয়ে দেখে সরকারি কোষাগারে আনতে হবে। জনধন যোজনায় অনেক বেনামি অ্যাকাউন্ট আছে। আমি দু'মাস সময় দিলাম- জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে কাজটা শেষ করতে হবে'।
     
  • Link to this news (আজ তক)