নতুন বছরে প্রথম প্রশাসনিক বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি কাগজে দেখলাম, আমি জানতাম না। আমি চিফ সেক্রেটারিকে জিজ্ঞেস করলাম। চিফ সেক্রেটারিও জানত না। প্রাথমিক স্তরে সেমিস্টার! ব্রাত্য, তুমি শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু দয়া করে মনে রেখো, এই সব করার আগে আমাকে জানাতে হবে'। জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'প্রস্তাব আকারে ছিল, খোঁজখবর নিচ্ছি। আপনি অনুমতি দিলে, তবেই বিজ্ঞপ্তি জারি হবে'।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কাগজের আগে বেরোল কী করে! আমি কোনও কথা শুনতে চাই না, পাবলিক তো জেনে গেল আগে। যা মেসেজ যাওয়ার চলে গিয়েছে, ওটা হবে না। চারজন উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত নিয়ে বলে দিল, আর হয়ে গেল। বাচ্চাগুলি আমার চাই ভার কমাতে। কাঁধের ব্যাগ কমাতে। ওদের যদি আমরা ভার বাড়িয়ে দিই। এমনিতেই পড়াশোনার ভার এখন খুব বেশি, ওটুকু বাচ্চারা কথা বলতেই জানে না। ক্লাস ওয়ানের বাচ্চা সেমিস্টার দেবে, নাকি টুয়ের বাচ্চা সেমিস্টার দেবে! কলেজে যেটা চলে, স্কুলে সেটা চলে না। স্কুলে যা প্রথা চলছে, তাই চলবে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে, তারা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে, তারা জানে। স্কুলে কোনও সেমিস্টার চলবে না'।
ঘটনাটি ঠিক কী? বছরে এক নয়, পরীক্ষা হবে দু'বার। গত শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছিলেন, '২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্য়ের সমস্ত সরকারি প্রাথমিক স্কুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা হবে সেমিস্টার পদ্ধতিতে। জানুয়ারি থেকে জুলাই প্রথম সেমিস্টার, আর জুলাই থেকে ডিসেম্বর দ্বিতীয় সেমিস্টার। প্রতি ক্লাসে পরীক্ষা হবে বছরে দু'বার'।